বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতির খুঁটিনাটি ও প্রয়োজনীয় রেফারেন্স

লিখাটি তাদের জন্য যারা নতুনভাবে বিসিএস দিবেন মনস্থির করেছেন বা এখনো ফাইনাল ইয়ারে আছেন আর পড়াশোনা শুরু করতে চাইছেন এবং লম্বা প্রস্তুতি নিতে আগ্রহী। সাথে যারা ৩৭ দিবেন কিছু অংশের প্রস্তুতি তারাও দেখতে পারেন। তবে –
(ক) ৩৭ এ যাদের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে তারা পোস্ট টি পড়ে সময় নষ্ট না করে এড়িয়ে যান। নতুন কিছু পড়ার দরকার নাই। যারা কিছু পড়েন নি এখনো কিন্তু ৩৭ দিবেন তারা হতাশ না হয়ে অন্তত নিচে যা দেয়া হচ্ছে তার কিছু পড়ার চেষ্টা করুন। যাদের ইচ্ছা আছে তারা চাইলে এক মাসেও পূর্ণ প্রস্তুতি সম্ভব।
(খ) আমি একবার ই বিসিএস দিয়েছি। এই দুইবছরে আমি যা পড়েছি আর যা যা পড়লে আরো ভালো করতে পারতাম মনে হয়েছে তাই এই পোস্ট এ লিখছি। অভিজ্ঞতা আর জ্ঞানের গঠনমূলক কোন সমালোচনা বা সাজেশান কাম্য।

বাংলা সাহিত্য
শুরু করছি বাংলা দিয়ে।
প্রাচীন যুগ আর মধ্যযুগ টা আমি সৌমিত্র শেখর স্যারের জিজ্ঞাসা থেকে পড়েছিলাম। এটা ই এনাফ। তবে পড়ার পর একটা গাইড থেকে বিসিএস আর পিএসসি এর অন্যান্য প্রশ্ন সমাধান করে যাচাই করে নিতে পারেন কতটুক পারছেন। এখানে নম্বর থাকে মাত্র ৫।

আধুনিক যুগ পড়তে চাইলে পাহাড় সমান পড়তে পারেন। পড়তে পড়তে ভুলে যাবেন। বারবার চিবোতে চিবোতে হজমযোগ্য হবে। আমি যেটি করেছিলাম সেটি হলো গাইড বই, জিজ্ঞাসা, লাল নীল দীপাবলী খুলে বসেছিলাম আর A3 সাইজের কাগজে জন্মসাল অনুযায়ী ৪০ টা লেখকের লিস্ট করেছিলাম। (যাদের সময় কম পিএসসির সিলেবাসভুক্ত ১১ জন আর আরো কিছু সহ অন্তত ২০ জন লেখক পরিচিতি পড়ুন)। লিস্ট করার পর ছক বানিয়েছিলাম এভাবে – জন্মস্থান (সবারটা লাগবে না), উপন্যাস, কাব্য,কবিতা ও অন্যান্য, উপাধি, বিশেষ কোন তথ্য, কিছু বিশেষ উপন্যাসের চরিত্র। এভাবে ৭-৮ টা কাগজেই আমার আধুনিক যুগ শেষ। এটি করতে আমার দুইদিন সময় লেগেছিলো। এরপর যেকোন একটি গাইড নিয়ে প্রশ্ন সলভ করে দেখুন কতগুলো পারছেন। লেখক নির্বাচনে ‘জিজ্ঞাসা’ বা নবম দশম শ্রেণির বই এর অর্ন্তভুক্ত লেখক অনুসরণ করতে পারেন। এখানে নম্বর থাকে ১৫।

* যাদের আরো বেশী পড়ার ইচ্ছা তারা মাহবুবুল আলম স্যারের বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস আর লাল নীল দীপাবলী উলটে পালটে দেখতে পারেন।
*যাদের আরো কম পড়ার ইচ্ছা তারা সোজা বাজারের সেরা গাইড শেষ করে ফেলুন।
* আমাদের সময় প্রিলিতে ওরাকল ছিলো না। প্রফেসরস/MP3/ ওরাকল দোকানে গিয়ে যাচাই করে যেটা আপনার পড়তে ভালো মনে হয় কিনে নিন। আমি দুই সেট রাখতাম।

বাংলা ব্যাকরণ
নবম -দশম এর পুরোনো বইটা আমার ভালোভাবে পড়া ছিলো বেগ পেতে হয়নি তেমন। যারা ছোট ক্লাসে ফাকি মেরেছেন আগে এই বইটি থেকে সিলেবাস অনুযায়ী সন্ধি, সমাস, বাক্য, শব্দ ইত্যাদি পড়ে ফেলুন। বানান আর বাক্যশুদ্ধি, ভাষার প্রয়োগ অপপ্রয়োগ আমি সৌমিত্র স্যারের দর্পন থেকে পড়েছি। বানান শুদ্ধির ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমীর প্রমিত বানানের নিয়মগুলো মনে রাখুন। (কয়েক পৃষ্টার একটি বই) এগুলো রিটেন এও কাজে লাগবে। তাই বেশি পড়লে ক্ষতি নেই। সমার্থক আর বিপরীতার্থক শব্দ জিজ্ঞাসা থেকে পড়েছিলাম। এরপর আগের মত যেকোন একটি গাইড থেকে বিসিএস এর প্রশ্ন সলভ :) এখানে নম্বর থাকে ১৫।

English Language & Literature
আমি গ্রামার ভুলে গিয়েছিলাম তাই একটা ভাইয়ার কাছে গ্রামার শিখেছিলাম নতুন করে।
parts of speech আর clause এর ক্ষেত্রে কন্সেপ্ট ক্লিয়ার রাখতে হবে। কোনটা কোন parts of speech আর কোনটা কোন clause এই ডিটেকশান টা বেশি আসে। sentence এর গঠন সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা থাকলে আর সমস্যা হবেনা। একবার কনসেপ্ট ক্লিয়ার করে english for competitive exam বা clause প্র‍্যাক্টিস এর জন্য bcs exclusive বইটা দেখা যেতে পারে।
phrase and idioms যেকোন একটা গাইড থেকে বিগত বছরের প্রশ্ন পড়লেই দেখবেন ১৫০-২০০ টা শেখা হয়ে গেছে। sentence correction আর transformation of sentence আমি দুইটা গাইড থেকে লিখে লিখে প্র‍্যাক্টিস করেছিলাম। গাইড প্র‍্যাক্টিস করতে করতে বুঝে যাবেন বিসিএস এর এই দুটি টপিক্স এর প্যাটার্ন।
synonym / antonym বা words আমি পড়ে যাইনি তেমন। তবে যাদের ইচ্ছা পড়ার তারা saifurs vocalbulary, বা বাজারের যেকোনো wordbook ফলো করতে পারেন। ৩৭ এর যারা এটি পড়েন নি তারা আর না পড়লেও চলবে।
উপরের পুরো গ্রামার আর লেংগুয়েজ এ নম্বর থাকে ২০।

লিটারেচার পার্ট টা আমি নোট করেছিলাম। ABC of English literature, radical বা অন্য একটা ভালো গাইড খুলে দেখুন। দেখবেন কয়েকটা প্যাটার্ন এ এই প্রশ্ন আসে। 1. quotation 2. literature work of at least 15-20 writers (আলাদাভাবে poetry, novel, drama) 3. name of writers of some most important books (কিছু কিছু লেখকের একটাই বিখ্যাত বই থাকে সেগুলো।) 4. periods of literature. 5. some character of most important literature. 6. বিভিন্ন লেখকের উপাধি (ex -poet of the poet, poet of nature etc এমন ১৫-২০ টা)
আমি এই ৬ টা প্যাটার্ন ফলো করে আলাদাভাবে পড়েছিলাম। এতে মনে থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। একবার নিজের খাতায় তুলে এনে ব্যাপকতা থেকে মুক্তি পাওয়া গেলে আর বারবার পড়া গেলে বিষয়টি সহজ হয়ে যাবে। লিটারেচার পার্টে নম্বর থাকে ১৫।

বাংলাদেশ বিষয়াবলি
বাংলাদেশের ইতিহাস টা বিশাল। প্রাচীন যুগ থেকে ১৯৪৭ আমি তেমন পড়িনি। শুধু একটি গাইড এ চোখ বুলিয়েছি। ১৯৪৭-৭১ পর্যন্ত ভালোভাবে জানতে হলে দেলোয়ার হোসেন এর বাংলাদেশের ইতিহাস বইটা পড়তে পারেন, রিটেনেও কাজে দিবে। ১৯৭১ নিয়ে সব খুটিনাটি জানার জন্য assurance বা জামিলস মুক্তিযুদ্ধ ভাইভা গাইড খুব কাজে দিবে। এই পুরো অধ্যায়টি রিটেনে আর ভাইভাতে কাজে দিবে তাই ভালো করে পড়াই উত্তম। যাদের সময় কম তারা ভালো একটা গাইড / ডাইজেস্ট অন্তত পড়ে যান প্রিলির জন্য।
সংবিধান আরিফ খানের বইটি (ব্যাখ্যাসহ) আমার কাছে সহজ বোধ্য লেগেছে। যাদের সময় কম শুধু মাত্র সংবিধানের ইতিহাস আর ১-৪৭ অনুচ্ছেদের নাম পড়ে যাবেন। যাদের সময় বেশি আরিফ খানের পাশাপাশি আব্দুল হালিম এর বইটি রাখতে পারেন। রিটেন এও কাজে দিবে।
অন্যান্য চ্যাপ্টার গুলোর জন্য যেকোন একটি গাইড ফলো করেন। আমার সময় প্রফেসরস ভালো ছিলো, ওরাকল বাজারে ছিলো না। এখন যেটা ভালো দেখেশুনে সেটা কিনে পড়েন। তবে অর্থনৈতিক যেকোন ডাটার জন্য অর্থনৈতিক সমীক্ষা (যেটা লেটেস্ট) ফলো করবেন। গাইডে অনেক ভুল থাকে। বাংলাদেশ বিষয়াবলীর মোট নম্বর ৩০।

আর্ন্তজাতিক বিষয়াবলি
এই বিষয়ের জন্য MP3 ভালো ছিলো। এখন কোন গাইড টি ভালো দোকানে গিয়ে একটু যাচাই করে দেখুন। ১ম চ্যাপ্টার টা বিশাল। আমি খুব সংক্ষেপে পড়ে গিয়েছিলাম একটা গাইড। এই চ্যাপ্টার এর জন্য আমি কোচিং এর কিছু মহাদেশ ভিত্তিক শিট পড়েছিলাম। যেগুলো ভুগোলে কাজে লেগেছিলো। এই চ্যাপ্টার টিকে ভুগোলের গাইডের সাথে মিলিয়ে পড়তে পারেন।
আন্তরাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, পরিবেশ ও কূটনীতি এসব চ্যাপ্টার কিছুটা কন্সেপচুয়াল ও। বহুদিন ডিবেট করার কারণে এই ব্যাপারগুলো আমার কাছে সহজ সহজ ছিলো। যদি কন্সেপ্ট ক্লিয়ার করতে চান তাহলে অনেক পড়া লাগবে। নাহলে একটা গাইড পড়ে চলে যেতে পারেন। তবে পাশে অন্তত আব্দুল হাই এর আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বইটি রেখে নাড়াচাড়া করে দেখতে পারেন সিলেবাস অনুযায়ী।
সাম্প্রতিক বিষয় এর জন্য অন্তত পত্রিকা পড়ুন। কারেন্ট এফেয়ার্স বা সম্পাদকীয় সমাচার বই গুলো উপকারে আসবে।
আর্ন্তজাতিক সংগঠন চ্যাপ্টার টিকে আয়ত্তে আনার জন্য একটা ছক রেডি করুন। প্রতিষ্ঠা কাল অনুযায়ী (১৫-২০ টা সংগঠন) সাজিয়ে সদস্য সংখ্যা, সদর দপ্তর, প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য, বাংলাদেশ কবে সদস্যপদ পেয়েছে, বিশেষ কোন তথ্য (যেমন নোবেল পেয়েছে কিনা, বর্তমান মহাসচিব ইত্যাদি) লিপিবদ্ধ করে বারবার পড়লে আয়ত্তে আসবে। আর্ন্তজাতিক বিষয়াবলীর মোট নম্বর ২০।

বিজ্ঞান
বিজ্ঞান ব্যাকগ্রাউন্ডের ছাত্র হওয়ায় আমি এটাকে তেমন গুরুত্ব দেইনি। আবার তেমন কোনো সুবিধাও পাইনি। ওরাকলের আর জামিলস এর বিজ্ঞান বইটি ভালো। শুধু পড়ে গেলেই হবে। কন্সেপ্ট ক্লিয়ার করে পড়তে গেলে সাধারণ বিজ্ঞান (নবম – দশম) , পদার্থ, রসায়ন, জীব এগুলোর পাঠ্যবই দেখতে হবে। (পুরোনো গুলো ভালো)। বিজ্ঞানের মোট নম্বর ১৫। (পদার্থ ও রসায়ন মিলে ভৌতবিজ্ঞানে ৫, জীববিজ্ঞানে ৫ আর আধুনিক বিজ্ঞানে ৫)

কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি
কম্পিউটার পার্ট টার জন্য ইজি কম্পিউটার বইটা নি:সন্দেহে অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তথ্য প্রযুক্তির অংশটি মজিবর রহমান স্যার এর একাদশ শ্রেণির বইটিতে পুরো সিলেবাসটি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। খুজে খুজে পড়তে হবে ইজি কম্পিউটারের সাথে। এক্ষেত্রে মোট নম্বর থাকে ১৫। (কম্পিউটার ১০ ও তথ্যপ্রযুক্তি ৫)

গাণিতিক যুক্তি
এক্ষেত্রে একটা এফিসিয়েন্সির ব্যাপার আছে। কেউ কেউ গণিতে আগে থেকেই এগিয়ে থাকে আবার কেউ কেউ খুবি দূর্বল। আমি দূর্বল দের জন্য লিখছি। প্রথমত, ম্যাথ এ কন্সেপ্ট দূর্বল হলে ভালো কোন স্যার বা পরিবারের কাউকে প্রতিদিন কয়েকটা ম্যাথ বোঝাতে বলুন। কোচিং এর কয়েকটা ক্লাসে ম্যাথ ক্লিয়ার হবেনা। এতে লজ্জার কিছু আছে বলে আমি মনে করিনা।
দ্বিতীয়ত, ক্লাস ৬-১২ সব ম্যাথ বই বাসায় থাকবে। যখন যে চ্যাপ্টার করবেন তখন সে চ্যাপ্টারের সবচেয়ে নিচের ক্লাস থেকে সর্বোচ্চ ক্লাস পর্যন্ত প্র‍্যাক্টিস করবেন। ধরেন বাস্তব সংখ্যা নবম শ্রেণি, লসাগু গসাগু প্রথমে ষষ্ঠ, তারপর অষ্টম, এভাবে করতে থাকবেন। এভাবে দিনে ১০-১২ টা করতে থাকেন কিন্তু বুঝে বুঝে। আপনাকে একসময় কেউ আর আটকাতে পারবেনা। তবে সৃজনশীল থেকে পুরাতন বইগুলা বেশি সহায়ক হবে।
বিন্যাস সমাবেশ আর সম্ভাব্যতা আমাদের সময় একাদশ শ্রেণির বীজগণিতে ছিলো। বুঝতে না পারলে মুখস্থ না করে বাদ দিয়ে যান। নিজে নিজে বুঝতে চাইলে ইউ টিউবে সার্চ দেন ১০-১২ পর্বে জিরো থেকে শিখতে পারবেন। (ভারতীয় পাবলিক সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতির টিউটোরিয়াল)
এক্ষেত্রে পাটিগণিত করার কিছু শর্টকাট টেকনিক আছে সেগুলো জানতে পারলে প্রিলিতে অনেক কাজে দিবে। যারা গণিত ভালো পারেন অন্তত একটা গাইডে চোখ বুলিয়ে যাবেন। গণিতে নম্বর মাত্র ১৫।

মানসিক দক্ষতা
এটি আসলে একটি ফাদ। লোভ দেখাবে কিন্তু ভুল হবে। তাই নিশ্চিত না হয়ে না দাগানোই ভালো। শাহিন স এর বইটা ভালো মানসিক দক্ষতার। ৬ টা টপিকস চ্যাপ্টার অনুযায়ী কিছুটা দেখে যান। রিটেনেও কাজে দিবে। এক্ষেত্রে নম্বর ১৫।

ভূগোল ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা
ভূগোলের জন্য মহাদেশভিত্তিক স্পষ্ট ধারনা থাকলে মুখস্থ করা সহজ হয়। বাজারের প্রচলিত যেকোনো গাইড যেটা আপনার ভালো মনে হয় ভালোভাবে পড়ে রাখুন। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য নবম দশম এর সামাজিক বিজ্ঞান অনুসরন করতে পারেন। মোট নম্বর ১০।

নৈতিকতা ও সুশাসন
মুজিবল হক এর একাদশ শ্রেণির পাঠ্যবই পড়ে দেখুন সিলেবাস অনুযায়ী। এখানে কনফিউজিং উত্তর থাকে। যেকোনো দুইটা গাইড সলভ করা উচিত উত্তর নিশ্চিত হবার জন্য। আর পাঠ্যবইটিকে সঠিক ধরে নিতে হবে। কিছু না পড়ে গেলেও কয়েকটা উত্তর করে আসতে পারবেন। মোট নম্বর ১০।

পাদটীকা :
১। যাদের সময় খুবি কম তারা ডাইজেস্ট বা জব সলিউশান বই দুটোকে সমন্বয় করে আর উপরের কোন বই যদি থেকে থাকে কিছু কিছু সেখান থেকে পড়ে যেতে পারেন। আবার যাদের সময় এক বছরের বেশি আছে আপনারা টপিক ওয়াইজ সিলেবাস শেষ করে জব সলুশান টা রিভিউ করতে পারেন। দেখবেন সব ই পারছেন।
২। উপরের প্রিপারেশান টুকু একবার নিতে পারলে বারবার প্রিলিতে টেকা বা অন্যান্য চাকুরীর পরীক্ষার বাধা পার করা আর সমস্যা হবে না আশা করি।
৩। আমার কোন কোটা ছিলো না আর প্রথম বিসিএস এই অনেক বেশি সিরিয়াস ছিলাম তাই হয়ত নিজেকে সেইফ রাখার সব চেষ্টা ই আমি করেছিলাম।
৪। যাদের একটা গাইড কেনার ইচ্ছা দোকানে দাঁড়িয়ে সবগুলো গাইড ঘেটে তারপর কিনুন।
৫। বইয়ের নাম বেশি থাকলে ও একেকটা টপিকস একেক জায়গা থেকে পড়েছিলাম তাই পড়া আসলে খুব বেশি না। আমি বেশি বই কিনতাম তাই হয়ত আমার প্রদর্শিত পথে রেফারেন্স ও বেশি। এটি অনুসরণ না করলেও সমস্যা হবে না।

পরিশেষে, গতকাল বলেছিলাম ৩ ধাপে বিসিএস জয় এর কথা : রিসোর্স কালেকশান, প্ল্যানিং আর ডুয়িং। গতকাল আর আজকে মিলে রিসোর্স আর প্ল্যানিং শেষ। বাকিটা আর করে দেয়া সম্ভব না। Doing টা Done না হওয়া পর্যন্ত পড়ে যান।

ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন। আর একটু খানিও কাজে লাগলে আমি অনুপ্রাণিত হব। ভবিষ্যতে রিটেন আর ভাইভা নিয়ে সময় হলে লিখে জানাব।

লেখক
শেখ এহসান সৌরভ
এডমিন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত
৩৫ তম বিসিএস