এসিসিএ আসলে পেশাদার ডিগ্রি। এখন আমাদের দেশে বসেই এসিসিএ পড়া যায়। এসিসিএ সম্পর্কে বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার মহুয়া রশিদ বলেন, আন্তর্জাতিক পেশাদার অ্যাকাউন্ট্যান্ট বডি হলো এসিসিএ। ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যাঁরা কাজ করতে চান বা যাঁরা কাজ করছেন, তাঁরা এসিসিএর মাধ্যমে হাতে-কলমে পেশাদার শিক্ষা পেয়ে থাকেন। পৃথিবীর ১৭৪টি দেশে কোর্সটি পড়ানো হয়। আর বিভিন্ন দেশে এসিসিএর তত্ত্বাবধানে কোর্সটির পরীক্ষাগুলো নিয়ে থাকে ব্রিটিশ কাউন্সিল। পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করার জন্য যুক্তরাজ্যে এসিসিএ সদর দপ্তর গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়। এসিসিএর সনদ যুক্তরাজ্য থেকেই অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রতিটি দেশের এসিসিএর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নাম নিবন্ধন করা হয়।
যাঁরা ‘এ’ লেভেল বা স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন, তাঁরা সরাসরি এসিসিএ কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। যাঁরা এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁরাও এসিসিএ ডিগ্রির জন্য ভর্তি হতে পারেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের ফাউন্ডেশন ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হতে হয়। এসিসিএ ডিগ্রি হিসাববিজ্ঞানের প্রায়োগিক দিকসহ ব্যবসা পরিচালনা নানা বিষয় সম্পর্কে শিক্ষার্থীকে পেশাদার ও ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনে অবহিত করে।
এসিসিএ সারা বিশ্বে ৮৯টি স্থানীয় কার্যালয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে। এসিসিএর বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাও এ নির্দেশনা পেয়ে থাকেন ‘এসিসিএ বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। এসিসিএর প্রশ্ন বা পরীক্ষা সবই হয়ে থাকে ইংল্যান্ডে অবস্থিত এসিসিএর মূল অফিসের তত্ত্বাবধানে। বছরের যেকোনো সময় কম্পিউটারভিত্তিক এসিসিএর নির্ধারিত বিষয়গুলোর পরীক্ষা দেওয়া যাবে। তা ছাড়া কাগজে-কলমে পরীক্ষা দেওয়া যাবে বছরের জুন ও ডিসেম্বর মাসে। এসিসিএর সদস্য হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীকে মোট ১৪টি বিষয়ে পাস করতে হয়। সেই সঙ্গে তিন বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়। এ ছাড়া ব্যবসায়িক নৈতিকতার ওপর ‘এথিকস মডিউল’ নামের কোর্স প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে বাধ্যতামূলক পড়তে হয়। এসিসিএর শিক্ষার্থীরা ফলিত হিসাবরক্ষণের ওপর ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড ব্রুকস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুবিধা পেয়ে থাকেন। এসিসিএ ডিগ্রি অর্জন শেষে মাস্টার্স ইন বিজনেস অ্যাডমিনেস্ট্রেশন (এমবিএ) ডিগ্রির জন্য উচ্চতর পড়াশোনাও করা যাবে বলে জানান মহুয়া রশিদ।
খরচাপাতি
এসিসিএ ডিগ্রি অর্জন করতে হলে এসিসিএ রেজিস্ট্রেশনের জন্য ৭৯ পাউন্ড জমা দিতে হয়। এ ছাড়া প্রতিবছর বার্ষিক ফি ৭৯ পাউন্ড জমা দিতে হয়। বিভিন্ন কোর্সভেদে পরীক্ষা ফি হিসেবে ৬৪ পাউন্ড থেকে ২৫৯ পাউন্ড জমা দিতে হয়।
কোর্স করবেন কোথায়?
বাংলাদেশ এসিসিএ অনুমোদিত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নিয়মিত এসিসিএ কোর্স করা যায়। এসিসিএ বাংলাদেশ অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো: সাইফুরস, এলসিবিএস ঢাকা, চার্টার্ড ইউনিভার্সিটি কলেজ (সিইউসি), এএমটিআরএএস, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেসি কলেজ।
এসিসিএ বাংলাদেশ
এসিসিএ ডিগ্রি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে লগ ইন করা যাবে: www.accaglobal.com ওয়েবসাইটে।
এসিসিএ বাংলাদেশের যোগাযোগের ঠিকানা:
এসিসিএ বাংলাদেশ, গুলশান ভবন, চতুর্থ তলা, ৩৫৫ মহাখালী, বীর উত্তম এ কে খন্দকার সড়ক, গুলশান, ঢাকা-১২১২।
সপ্তাহে রোববার থেকে বৃহস্পতি প্রতিদিন বেলা ১০টা থেকে থেকে বিকেল ছয়টা পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা যাবে।
source: প্রথম আলো