৬০ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে

শিক্ষক আরেন্দালনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এই ৬০ জন শিক্ষকের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাওনা রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা। বারবার তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও তারা সেই টাকা পরিশোধ করছেন না। এই টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত সুদের পরিমাণ বাড়তে থাকবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

৬০ জনের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষাছুটি নিয়ে বিদেশ গমন করে পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান না করায় চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অনেক শিক্ষক স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে নানা এনজিও ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছেন।

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক দৈনিকশিক্ষাডটকমকে লেন, ঋণখেলাপি এই শিক্ষকরা ইতোমধ্যেই টারমিনেটেড কিংবা কেউ কেউ নিজেরা পদত্যাগ করেছে। তাদেরকে পাওনা পরিশোধে নোটিশ দেয়া হয়েছে। এরপরও সাড়া না পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে অর্থ জালিয়াতির মামলা করা হবে।

৬০ জন শিক্ষক হলেন ইংরেজী বিভাগের শায়লা হামিদ (৫ লাখ ১৫ হাজার ৪২১ টাকা), ফায়েজা সুলতানা (৪ লাখ ৮১ হাজার ৫২৮), সুধীর শ্যমূয়েল চৌধুরী (১ লাখ ৪৩ হজার ৮৯৮ টাকা), রসায়ন বিভাগের মাইনুল হোসেন ভূঁইয়া (২ লাখ ৭২ হাজার ৭৮৭ টাকা), মোঃ কামরুজ্জামান (৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭৩০ টাকা), লুনা নাসরীন রহমান (২ লাখ ১৬ হাজার ৫২৩ টাকা), মোঃ জসিম উদ্দিন (২ লাখ ৪৩ হাজার ৬১০), প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ড. মোঃ নাজমুল হুদা (২ লাখ ২০ হাজার ১০৬), ড. মরিয়ম নাসরীন (৩ লাখ ৪৪ হাজার ১৭১), ড. মোহাম্মদ আরিফ (৬ লাখ ৩২ হাজার ৪০০), বাংলা বিভাগের ড. আমিনুর রহমান (৩৮ লাখ ১২ হাজার ২৪৪), রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের মোঃ আতাউর রহমান (৬ লাখ ৭৮ হাজার ১৩), জাহিদ হাসান চৌধুরী  (২ লাখ ১ হাজার ৯৬৩), শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের এ.টি.এম আব্দুল্লাহেল শাফী (৪ লাখ ১৮ হাজার ৮১৯), ফিন্যান্স বিভাগের মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন (৬ লাখ ৫৫ হাজার ৫১৭), ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মোঃ সাইফুল ইসলাম (৬ লাখ ৫২ হাজার ৭৭০), শেখ মোঃ রিয়াজুল ইসলাম (৭৮ হাজার ৪৫১), জামিল ইউসুফ খান ( ৪১ হাজার ৭৯৩), সেকেন্দার চৌধুরী (১৯ হাজার ১১০), আদনান সিরাজ লস্কর (১ লাখ ৫৪ হাজার ৩২০), শেখ মোহাম্মদ আলী (৩০ লাখ ৪৪ হাজার ১২০), আনিকা আজিজ (২ লাখ ৫৯ হাজার ৭৬০), বজলুর রশীদ (২ লাখ ৩০ হাজার ৯২২), মোঃ জহিরুল হক (২ লাখ ৪৭ হাজার ২৯৩), সাজ্জাদ হায়দার (৪ লাখ ২৬ হাজার ৬৮), কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের মোঃ আশরাফুজ্জামান (২ লাখ ১৯ হাজার ৩০৪), এ.কে.এম জিয়াউর রহমান (৪ লাখ ২০ হাজার ৩০৩), নাসিমুল নোমান (৮ লাখ ১৫ হাজার ৬৬৭), মোঃ এনামুল করিম (৬ লাখ ৩৫ হাজার ২১৪), মাহমুদ হোসেন (৩ লাখ ৭১ হজার ৮৬০), স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিটের জাহিদুল কাইয়ুম (৫ লাখ ৫১ হাজার ৩৭০), জিয়া সাদিক (৮ লাখ ৩৪ হাজার ৪২৭), হোসনে আরা বেগম (১৫ লাখ ২০ হাজার ৩১০), শেখ মোহাম্মদ শহিদ উদ্দীন ইস্কান্দার (৮ লাখ ৯৭ হাজার ৪৫৭), ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের নাসরিন ইসলাম খান (৮ লাখ ৯৩ হাজার ৯১), আরবী বিভাগের মোঃ মাসুদ বিন সাঈদ (১০ লাখ ২২ হাজার ৮৮৪), তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের মোঃ হানিফ উদ্দিন (১০ লাখ ৯৫ হাজার ৮২), একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের আরিফুর রহমান (১৪ লাখ ২১ হাজার ১০৩), মোহাম্মদ নূরুল হক (১১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭০), অনুপ চৌধুরী (১ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৬), ফিন্যান্স বিভাগের মোহাম্মদ মুশফিক উদ্দিন (৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৪), ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সামিনা এম সাইফুদ্দিন (৭ লাখ ২৭  হাজার ৫২৫), নৃবিজ্ঞান বিভাগের ফারহানা আযিম (৯ লাখ ৫৮ হাজার ৩৯৬), তানিয়া শারমিন (১০ লাখ ১০ হাজার ৯৪১), তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের মনিরুজ্জামান ভূঞা (৭ লাখ ১৯ হাজার ৪৬০), অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের মোঃ আলমগীর রহমান (১২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২), লোকপ্রশাসন বিভাগের মোহাম্মদ এহসান (৯ লাখ ৪ হাজার ৬৮৯), কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শাহেদ আনোয়ার (৮ লাখ ৩০ হাজার ১২), ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের মোস্তাইম বিল্লাহ (১২ লাখ ৪৬ হাজার ৮৩), ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের আবুজার কবির (৭ লাখ ১৪ হাজার ৬৩৯), আমিনুল ইসলাম মল্লিক (১৫ লাখ ৮৪ হাজার ২৮৭), মোঃ নজরুল ইসলাম (৪ লাখ ২২ হাজার ১৫১), গণিত বিভারে কাজী আমিনুর রহমান (১০ লাখ ১৭২),  অর্থনীতি বিভাগের খন্দকার মোঃ ইসতিয়াক (১৩ লাখ ২ হাজার ৯৮৫), আইন বিভাগের তানজিম আফরোজ (১০ লাখ ২৩ হাজার ৩৫২), তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের মুঃ গোলাম মোর্শেদ (৭ লাখ ৯৭ হাজার ২৩০), উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের মোঃ হেদায়েত উল্লাহ চৌধুরী (৪৬ হাজার ১৫), শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাহমুদা শায়লা বানু (৮ লাখ ৯৫ হাজার ৭৮৩) ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মুহাম্মদ ওমর ফারুক (৭ লাখ ৪৬ হাজার ৫২২ টাকা)।