৩৭তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জানুয়ারিতে

২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসের ৮ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে ৩৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। এরপর ওই মাসেই ৩৭তম বিসিএস পরীক্ষার সাকুর্লার জারি করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

অনলাইনে ফ্রী মডেল টেস্ট দিন নিজেকে সেরা হিসেবে গড়ে তুলুন
অনলাইন বিসিএস মডেল টেস্টবিসিএস মডেল টেস্ট
অনলাইন ব্যাংক জব মডেল টেস্ট: ব্যাংক জব মডেল টেস্ট
অনলাইন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাবিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা
মেডিকেল ডেন্টাল কলেজ ভর্তি পরীক্ষা: মেডিকেল ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষা
অনলাইন সরকারী নিয়োগ পরীক্ষাসরকারী নিয়োগ পরীক্ষা

b‡yমঙ্গলবার দশম জাতীয় সংসদের অষ্টম অধিবেশনে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম মাহজাবিন খালেদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

জনপ্রশাসন মন্ত্রী জানান, আগামী ৮ জানুয়ারি ৩৬তম বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমিনারি টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও জানুয়ারি মাসে ৩৭তম বিসিএস পরীক্ষার সার্কুলার জারির বিষয়ে কমিশন আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।

মন্ত্রী জানান, বিভিন্ন ক্যাডারে ১৮০৩ প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য বর্তমানে সরকারি কর্মকমিশনে ৩৫তম বিসিএস-এর লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রণয়নের কার্যক্রম চলছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করে, মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ এবং আগামী এপ্রিল-মেতে চূড়ান্ত সুপারিশ প্রদান করা যাবে বলে কমিশন আশা প্রকাশ করেছে।

সৈয়দ আশরাফ জানান, ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিন্তু পদ স্বল্পতার কারণে ক্যাডার পদে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়নি। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নন-ক্যাডার পদে আবেদনকারী পাঁচ হাজার ১৭০ প্রার্থীকে ১ম ও ২য় শ্রেণির গেজেটেড পদে নিয়োগের জন্য শূন্য পদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। তালিকা পাওয়ার পরই উপযুক্ত প্রার্থীদের নিয়োগের সুপারিশ করা হবে।

মন্ত্রী জানান, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সাতটি বিসিএস পরীক্ষায় বিভিন্ন ক্যাডার পদে ২০ হাজার ৭৮৩ প্রার্থীকে কমিশন কর্তৃক সুপারিশ করা হয়েছে।

পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরে সরকারি নন-ক্যাডার পদে মোট ৩৫১৯ জন লোক নিয়োগ করা হবে।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, সরকারি দপ্তরসমূহে শূন্য পদে জনবল নিয়োগ একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগ এবং এর নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থাসমূহের চাহিদার পরিপেক্ষিতে সরকারি কর্ম-কমিশনের মাধ্যমে ১ম ও ২য় শ্রেণির শূন্য পদে জনবল নিয়োগ করা হয়ে থাকে। ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির শূন্য পদে সংশ্লিষ্ট দপ্তর-সংস্থার নিয়োগবিধি অনুযায়ী জববল নিয়োগ করা হয়ে থাকে।

পটুয়াখালী-৩ আসনের আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রী বলেন, বিগত পাঁচ বছরে জনপ্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত কর্মকর্তার সংখ্যা সর্বমোট ৬৫৪ জন। এর মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ৫৫১ জন এবং জনসাধারণের মধ্য থেকে বিশেষ যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ১০৩ জন।

ঢাকা-৭ আসনের হাজী মো. সেলিমের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সরকারি চাকরিতে সাধারণ কোটা বৃদ্ধির বিষয়ে সরকারের আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৭ মার্চ ১৯৯৭ তারিখের স্মারকে জারিকৃত সার্কুলার অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে ১ ও ২য় শ্রেণির পদসমূহের বিদ্যামান কোটা বহাল আছে বলে জানান তিনি।