১২মাস গাহর্স্থ্য বিজ্ঞান পড়ে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে কৃষিশিক্ষায়

সারা বছর গাহস্থ্য বিজ্ঞান পাঠদান করিয়ে জেএসসি পরীক্ষা দিতে হচ্ছে কৃষি পরীক্ষা। আজ মঙ্গলবার সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটী ঈশ্বর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, পাকুটিয়া বিসিআরজি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯০ শিক্ষার্থী সারা বছর তাদের শিক্ষকরা গাহস্থ্য বিজ্ঞান পাঠদান করেছে, অথচ রেজিষ্টেশন ও প্রবেশপত্রে আছে কৃষি শিক্ষা, তাই নিয়ম অনুযায়ী ৯০ জন শিক্ষার্থী কোনো ধরনের প্রস্তুতি না নিয়েই আজ কৃষি শিক্ষা বিষয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে।

jscবালিয়াটী ইশ্বর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র সচিব ও প্রধান শিক্ষক মোঃ আছালত জামান খান জানান, আমার কেন্দ্রে পাকুটিয়া বিসিআরজি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার জেএসসি পরীক্ষায় ২৮০ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। তাদের মধ্যে ৯০ জন শিক্ষার্থীর রেজিষ্ট্রেশন কার্ডে কৃষি শিক্ষা থাকলেও সারা বছর পাঠদান করানো হয়েছে গাহস্থ্য বিজ্ঞান, বিষয়টি সোমবার পরীক্ষার সময় চোখে পড়ে, তখনই শিক্ষার্থীরা হইচই শুরু করে, তখন তাদের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে তাদের বুঝানো হয়, যেহেতু ভুলে তাদের গাহস্থ্য বিজ্ঞান পড়ানো হয়ছে, কিন্তু রেজিঃ ও প্রবেশপত্রে তাদের কৃষি শিক্ষা থাকাতে, আজ তাদের কৃষি শিক্ষাই পরীক্ষা দিতে হবে।

আজ মঙ্গলবার বালিয়াটী জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের বাইরে থাকা অভিভাবক ক্ষোভের সংগে জানান, একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এত বড় ভুল করল, কারো চোখে পড়ল না, সারা বছর গার্হস্থ্য বিজ্ঞান পড়ে আজ তাদের কৃষি শিক্ষা পরীক্ষা দিতে হচ্ছে।
জেএসসি পরীক্ষার্থী রুপা আক্তারের মা ফরিদা আক্তার জানান, আমার মেয়ের মতো এই ৯০ শিক্ষাথী অনেকেই তো অতিরিক্ত বিষয় থেকে নাম্বার রেজাল্টে যোগ হবার আশায় থাকে, সেখানে একদিন পড়ে কী সেই আশা করা যায়।
পরীক্ষা শুরু হবার আগে, কেন্দ্রের বাইরে থাকা পাকুটিয়া বিসিআরজি উচ্চ বিদ্যালয়ের জেএসসি শিক্ষার্থীরা , অতিরিক্ত বিষয়ের নম্বর থেকে ভালো নাম্বার পাব না আজ, তাই আমারা অনেকেই শিক্ষকদের ভুলের জন্য জিপিএ -৫ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবো। এ দায় ভার কে নেবে।
পাকুটিয়া বিসিআরজি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বজলুল করিম মিয়া, পরীক্ষা কেন্দ্রে না পাওয়া গেলেও মোবাইল ফোনে জানান, ভুল স্বীকার করলেও, কিছুটা দায়, উপজেলা শিক্ষা অফিসের উপর চাপিয়ে দেবার চেষ্টা করে বলেন, বছরের শুরুতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কৃষি শিক্ষা বই সরবরাহ না করে গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বই দেয়। সেই বই আমাররা সারা বছর পাঠদান করিয়েছি।

এ ব্যাপারে সাটুরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিগার সুলতানা জানান, উক্ত বিদ্যালয়ের প্রথান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষককে দায়ী করে বলেন, রেজিস্ট্রেশন কার্ড তো আর গতকাল আর মঙ্গলবার আসেনি। কয়েক মাসে আগেই প্রতিটি বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়, তখন কি কোনো শিক্ষকরেই চোখে পড়েনি, বিষয়টি পরীক্ষার কয়েক মাস আগে খেয়ারল করলে ৯০ জন শিক্ষার্থীদের এত বড় ক্ষতি হতো না।

এ ব্যাপারে ৯০ জন জেএসসি পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র সচিব ও বালিয়াটী ইশ্বর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ আছালত জামান খান জানান, ৯০ জন শিক্ষার্থী সারা বছর গার্হস্থ্য অর্থনীতি পাঠদান করে আজ মঙ্গলবার কৃষি পরিক্ষা দিতে হলেও তারা ভালোভাবে পরীক্ষা দিয়েছে, কেমন পরীক্ষা হয়েছে এমন প্রশ্ন।

সূত্র:নয়াদিগন্ত