সাথে সাথে সেসব কেন্দ্র বাতিল করা হবে!

শিক্ষকরা নৈতিকতা বিবর্জিত তৎপরতা চালিয়ে পরীক্ষার্থীদেরকে সহায়তা করলে সাথে সাথে সেসব কেন্দ্র বাতিল করা হবে। দোষী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

nahid_1

বুধবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সংক্রান্ত আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং কমিটির সভায় এ হুঁশিয়ারি দেন মন্ত্রী।

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, পরীক্ষার হলে কেন্দ্রসচিব ছাড়া কোনো শিক্ষক, কর্মচারী বা শিক্ষার্থী মোবাইল ফোন, ইলেক্ট্রনিক ঘড়ি বা ইলেক্ট্রনিক কলম বহন করতে পারবেন না। কারো কাছে এগুলো পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি দেশের দু’একটি স্থানে পরীক্ষার হলে কতিপয় শিক্ষক নামধারী নৈতিকতা বিবর্জিত শিক্ষক অপকর্মে লিপ্ত। তারা পরীক্ষার্থীদের বেশি নম্বর পেতে সহায়তা করছে। এরা শিক্ষক নামের কলংক। এদের অপকর্মের কারণে পুরো শিক্ষক সমাজকে কলঙ্কিত হতে দেব না।

বেশি আলোচনার দরকার নেই। আমরা এ্যাকশনে আছি। ইতোমধ্যে আমতলীতে আমরা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। এ ধরনের শিক্ষকদের উদ্দেশে বলতে চাই, এ পথ ত্যাগ করে সঠিক পথে না এলে রেহাই নেই। পরীক্ষার্থীদের সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স। পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে যারা থাকবেন তাদেরও এর দায় নিতে হবে। অনিয়ম করলে চাকরি থাকবে না, আইনে আরও যা যা আছে তাই করা হবে বলেও জানান নুরুল ইসলাম নাহিদ।

তিনি আরও বলেন, আইন ভঙ্গ করে যারা পরীক্ষায় ব্যত্যয় ঘটাচ্ছেন তারা মনিটরিংয়ে আছেন। এজেন্সির (গোয়েন্দা সংস্থা) লোকজন তাদের সম্পর্কে জানেন।

সভায় শিক্ষাসচিব মো. নজরুল ইসলাম খান বলেন, পরীক্ষার সমস্যাগুলো দূর করতে আমরা নতুন কিছু চিন্তা করছি। যশোর ও বরিশাল বোর্ডের চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন ব্যাংক করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে প্রশ্ন নিয়ে পরীক্ষা নেওয়া যাবে। অষ্টমে এ বিষয়টি চালুর চেষ্টা করব। পরে এসএসসি ও এইচএসসিতেও করা হবে।

এবারের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির দক্ষ ও সময়োপযোগী তৎপরতার কারণে প্রশ্নপত্র ফাঁস বা ফেসবুকে হুজুগ না ওঠায় কমিটির সবাইকে ধন্যবাদ জানান শিক্ষামন্ত্রী। সুষ্ঠু, সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।