সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমে ক্যারিয়ার

jarnalistআমাদের দেশে সাংবাদিকতা বা মিডিয়ায় ক্যারিয়ার গড়ার চিন্তা-ভাবনাটা কয়েক বছর আগেও দুঃসাহসিক ব্যাপার ছিলো। পেশাগত ঝুঁকি আর আর্থিক অস্বচ্ছলতা শিক্ষার্থী-অভিভাবক সবার জন্যেই দুর্ভাবনার কারণ ছিলো। কিন্তু সময় পাল্টেছে; পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম এখন প্রথম সারির বিষয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও এ বিভাগ উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্যে শিক্ষার্থীদের অন্যতম পছন্দ হিসেবে আজ প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশে গণমাধ্যমের বিশেষ করে টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন মিডিয়ার বিস্তার ও বিকাশ এবং যোগাযোগ, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম বিষয়ে মানুষের স্পষ্ট ধারণা তৈরি হওয়া এ ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

সময়ের চাহিদা তথা শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশার কথা মাথায় রেখে এই বিষয়ে যুগোপযোগী ও মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দেয়ার লক্ষ্যে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এসইউবি) ২০১৩ সালে জার্নালিজম, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ চালু করে। যাত্রালগ্ন থেকেই বিভাগটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। পূর্ণকালীন হিসেবে দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠের সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারীদের পাশাপাশি খ্যাতনামা সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক ও গবেষকরা এই বিভাগে খন্ডকালীন পাঠদান করে আসছেন। তাত্ত্বিক ধারণার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষিত করে তুলতে নিয়মিতভাবে সাংবাদিকতার বিভিন্ন ধারা, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি এবং সমসাময়িক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে কর্মশালা, সেমিনার-আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

বর্তমান সময়ের বিবেচনায় প্রথাগত বিষয়ের তুলনায় উচ্চশিক্ষার বিষয় হিসেবে সাংবাদিকতা, যোগাযোগ ও গণমাধ্যম বেশ ব্যতিক্রম ও চ্যালেঞ্জিং। নিছক চাকুরে না হয়ে রুচিসম্পন্ন ও ব্যক্তিত্বশীল আধুনিক মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার অনন্য সুযোগ রয়েছে এই বিষয়ে পড়লে। সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, রেডিও, টেলিভিশন ও অনলাইন মিডিয়ার পাশাপাশি বিজ্ঞাপন-ডকুমেন্টারি-চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে, বা দেশি-বিদেশি এনজিও অথবা অন্যান্য কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে কাজের বাইরেও গবেষণার বিস্তর সুযোগ রয়েছে।

চাকরির মাধ্যমে সরাসরি সাধারণ মানুষ তথা সমগ্র জাতির প্রতি নাগরিক দায়িত্ব পালনেরও অবারিত সুযোগ করে দিতে পারে এই বিভাগের শিক্ষা।

এসএসসি ও এইচএসসি (বা সমমান) পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ২.৫ (অথবা দুটো মিলে ৬) থাকলে এই বিষয়ে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। এই বিষয়ে পড়তে চাইলে যোগাযোগ করা যাবে:

বিজয় ক্যাম্পাস : ১৩৮, কলাবাগান, মিরপুর রোড, ঢাকা- ১২০৫ , বাংলাদেশ। ফোন: ০১৭৬৬৬৬৩৫৫৬, ০১৭৬৬৬৬৩৫৫৭, ০১৭৬৬৬৬৩৫৫৮।

সূত্র: লেখাপড়া২৪
লেখক: মাজেদুল হক তানভীর, সাংবাদিক।