সঠিক নিয়মে পড়ালেখা ও মনে রাখার টেকনিক

একদিকে ঝড়ের গতিতে পড়ে যাচ্ছেন আর আরেকদিকে ঠিক একইভাবে ভুলেও যাচ্ছেন। পড়াশোনার ক্ষেত্রে এমন সমস্যায় পড়েননি এমন মানুষ খুব কমই আছে। বেশিরভাগ ছাত্র ছাত্রীদের এই একটি বিষয় নিয়ে হা হুতাশ করতে শোনা যায় যে তারা পড়া পড়ে মনে রাখতে পারেন না। এক্ষেত্রে আপনাদের এই হা হুতাশ দূর করতে কিছু টিপস প্রদান করা হল।

লেখাপড়া০১.পড়ার সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করুন:

আপনি যা পড়ছেন সেই বিষয়ের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করুন। নিজে নিজেকে প্রশ্ন করুন ও পড়ার ভেতর থেকে উত্তর ও নিজেই খুঁজে বের করুন। যখনই আপনি কোন বিষয়ে পড়তে গিয়ে ঘটনার কারণ ও ফলাফল সম্পর্কে নিজে থেকে জানার চেষ্টা করবেন তখন সেই পড়া আপনার ভেতর খুব পাকাপোক্তভাবে বসে যাবে। তাই সহজে আপনার মন থেকে পড়া হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকখানি কমে যায়।

০২. নোট করে করে পড়ুন

একটানা কোন বিষয় পড়ে না গিয়ে বরং ছোট ছোট অংশে ভেঙ্গে ভেঙ্গে বা অল্প করে করে পড়ুন। এক নাগারে কোন বিষয়ে পড়ে গেলে আপনার ভুলে যাওয়ার সুযোগ থাকে, তাই ছোট ছোট অংশে ভেঙ্গে বা নোট করে পড়লে আপনার স্মৃতিতে তা ভালোভাবে আটকে যায় আর ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

০৩. যা পড়ছেন তা কল্পনা করার চেষ্টা করুন

আপনি যে বিষয়ে পড়ছেন ভা যে ঘটনা সম্পর্কে পড়ছেন সেটা নিজে নিজে কল্পনা করার একটা চেষ্টা করে দেখুন। যদি আপনি কোন যুদ্ধ সম্পর্কে পড়তে বসেন তাহলে নিজেকে যুদ্ধ ময়দানে কল্পনা করুন, ভাবুন কেন আপনি যুদ্ধে এসেছেন আর কি নিয়েই বা এই যুদ্ধ। দেখবেন পড়ার বিষয়বস্তু আপনার মস্তিস্কে একটি স্থায়ী জায়গা দখল করে থাকবে।

০৪.একটু ব্যাতিক্রম ঘটনায় বাড়তি মনোযোগ দিন

কোন বিষয়ে পড়তে গিয়ে হয়তো আপনার সামনে অন্য রকম কাহিনী বা ঘটনা সম্পর্কিত আলোচনা আসবে, কারণ সবটাই আপনার জানা বিষয় সম্পর্কিত আলোচনা সামনে পড়বেনা এমনটাই কাম্য। তাই এইসব সময়ে আপনি আপনার আলোচ্য বিষয়বস্তুতে বাড়তি মনোযোগ প্রদান করুন। আপনার একটু বাড়তি দেখাশোনা পড়া মনে রাখতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

০৫. অনুশীলন করুন

আপনার মুখস্ত পড়া মনে রাখতে বার বার সেটি অনুশীলন করুন। সব থেকে ভালো হয় যদি আপনার আলোচ্য বিষয় পড়ার পাশাপাশি একটু একটু লিখার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। যেকোন বিষয় পড়ার সাথে সাথে লিখতে স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়। তাই বার বার পড়া বিষয় অনুশীলন করুন।

০৬. পড়ার ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রাম নিন

আপনি যদি ভেবে থাকেন শুধু একটানা পড়ে গেলেই পড়া বিষয় আপনার মনে থাকবে তাহলে ভুল করবেন। বরং পড়ার ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন, আর বিরতির পর আগের পড়াগুলো মনে মনে আওড়ানোর চেষ্টা করুন। এভাবে পড়লে দেখবেন আপনার স্মরণশক্তি এমনিতেই বাড়বে।

সবার মেধা সমান নয় আর একইভাবে একই কায়দায় পড়লে সবায় তা মনে রাখতে পারবে এটাও সম্ভব নয়। তাই নিজে নিজে পড়া মনে রাখার নতুন নতুন কৌশল আয়ত্ত করুন।

সঠিক নিয়মে পড়ালেখার টেকনিক

পড়া বুঝে মনে রাখার সহজ উপায়টা কী? মুখস্থবিদ্যা কোনো সমাধান না, আর মুখস্থ করা মানে সেটা বোঝা, মনে রাখা কোনোটাই না। কোনো কিছু পড়ে সহজে সেটা মনে রাখতে হলে আপনাকে স্মৃতি গড়ার কায়দা জানতে হবে।

পরিচিত অনেক ছাত্রকেই দেখবেন, একবার পড়লেই মনে রাখতে পারে, সেখানে আপনি হয়তো ঘন্টার পর ঘণ্টা ঘষটে ঘষটেও কিছু মনে রাখতে পারছেন না।

তাহলে কায়দাটা কী? আঁতেল ভালো ছাত্র কাউকে জিজ্ঞেস করলে বলবেনা হয়তো তাদের গোপন রহস্য, তাই এই লেখা থেকে জেনে নিন সেটা।

০১. পড়তে বসার আগে একটু চিন্তা করুন- কী পড়বেন, কেন পড়বেন, কতক্ষণ ধরে পড়বেন। প্রত্যেকবার পড়ার আগে কিছু টার্গেট ঠিক করে নিন। যেমন, এত পৃষ্ঠা বা এতগুলো অনুশীলনী।

০২. বিষয়ের বৈচিত্র্য রাখুন। নিত্য নতুন পড়ার কৌশল চিন্তা করুন।

০৩. দেখা, দেখতে পারা ~ কোনো জিনিষ মনে রাখতে হলে সেটা দেখা অথবা কল্পনায় করাটা দরকারী। ধরা যাক, মোগল সম্রাট আকবরের শাসনামল মনে রাখতে হবে। বিরক্তিকর সব জিনিষ তোতাপাখির মতো মুখস্থ করার চাইতে চোখ বুঁজে একবার সম্রাট আকবরকে কল্পনা করেন, হাতির পিঠে বসে মোগলাই পরোটা খেতে খেতে কটকটে হলুদ পাঞ্জাবি পরা হিমুর সাথে যুদ্ধ করছে। পানিপথের যুদ্ধ আর তোতার মতো মুখস্থ করা লাগবেনা, এই দৃশ্যটা মনে করলেই বাকিটা মনে থাকবে আপনার।

০৪. সম্পর্ক — কোনোকিছু পড়ার পরে সেটার সাথে আপনার পরিচিত কিছুর সম্পর্কটা চিন্তা করে নিন। যেমন ধরেন বয়েলের সূত্র দিয়ে গ্যাসের গতিবিধির তত্ত্ব মনে রাখতে হবে। বয়েল এর নামটা বয়লারের মতো, তাই না? আবার অনেকটা কয়েলের মতো লাগে। কয়েল থেকে ধোয়া টাইপের গ্যাস বের হয়, তাই না? এভাবে যেটাই পড়বেন, পরিচিত কিছুর সাথে সম্পর্ক বের করেন। আবার যেগুলা পড়ছেন, তাদের নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক বের করেন।

০৫. একটানা না পড়ে বিরতি দিয়ে পড়বেন। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, একটানা ২৫ মিনিটের বেশি একজন মানুষ মনোযোগ দিতে পারে না। তাই একটানা মনোযোগের জন্যে মনের ওপর বল প্রয়োগ না করে প্রতি ৫০ মিনিট পড়ার পর ৫ মিনিটের একটা ছোট্ট বিরতি নিতে পারেন। কিন্তু এ বিরতির সময় টিভি, মোবাইল বা কম্পিউটার নিয়ে ব্যস্ত হবেন না যা হয়তো ৫ মিনিটের নামে দু-ঘণ্টা নিয়ে নিতে পারে।

০৬. পড়ুন, লিখুন, আঁকুন, মনে রাখুন – ১০ মিনিটের বেশি কিছু পড়বেন না।১০ মিনিট পড়ার পরে যেটা পড়লেন, সেটাকে লিখে ফেলেন, অথবা সেটা নিয়ে ছবি আঁকেন। চিন্তার কিছু নাই, ছবি আঁকতে না পারলেও কাকের ঠ্যাং মার্কা কিছু আঁকেন। তার পর পরের পড়ায় যান। কারণ মনে কিছু ঢোকার পরে সেটা যদি লেখার মাধ্যমে হাতে না আনেন, তাহলে মন থেকে কান দিয়ে সেটা বেরিয়ে পালাবেই। তাই পড়া, লেখা, মনে রাখা, এই চক্রে পড়ার অভ্যাস করেন, সহজেই মনে থাকবে সবকিছু।

০৭. অল্প অল্পেও অনেক – একবারে গাছের আগায় উঠা যায় না। তাই একগাদা জিনিষ একবারে এক দফায় না পড়ে অল্প অল্প করে পড়েন। মনের জগতে ওভারডোজ সহ্য হয় না।

০৮. এনার্জি লেভেলের সঙ্গে আগ্রহের একটা সম্পর্ক আছে। এনার্জি যত বেশি মনোযোগ নিবদ্ধ করার ক্ষমতা তত বেশি হয়। আর অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীর দিনের প্রথমভাগেই এনার্জি বেশি থাকে। তাদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, যে পড়াটা দিনে ১ ঘন্টায় পড়তে পারছে সেই একই পড়া পড়তে রাতে দেড় ঘণ্টা লাগছে। তাই কঠিন, বিরক্তিকর ও একঘেয়ে বিষয়গুলো সকালের দিকেই পড়ুন। পছন্দের বিষয়গুলো পড়ুন পরের দিকে। তবে যদি উল্টোটা হয়, অর্থাৎ রাতে পড়তে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, তাহলে সেভাবেই সাজান আপনার রুটিন।

০৯. মনোযোগের জন্যে আপনি কোন ভঙ্গিতে বসছেন সেটি গুরুত্বপূর্ণ। সোজা হয়ে আরামে বসুন। অপ্রয়োজনীয় নড়াচড়া বন্ধ করুন। চেয়ারে এমনভাবে বসুন যাতে পা মেঝেতে লেগে থাকে। টেবিলের দিকে একটু ঝুঁকে বসুন। আপনার চোখ থেকে টেবিলের দূরত্ব অন্তত দু ফুট হওয়া উচিৎ।

১০. পড়তে পড়তে মন যখন উদ্দেশ্যহীনতায় ভেসে বেড়াচ্ছে জোর করে তখন বইয়ের দিকে তাকিয়ে না থেকে দাঁড়িয়ে পড়ুন। তবে রুম ছেড়ে যাবেন না। কয়েকবার এ অভ্যাস করলেই দেখবেন আর অন্যমনস্ক হচ্ছেন না।

১১. প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে পড়তে বসুন এবং পড়তে বসার আগে কোনো অসমাপ্ত কাজে হাত দেবেন না বা সেটার কথা মনে এলেও পাত্তা দেবেন না। চিন্তাগুলোকে বরং একটা কাগজে লিখে ফেলুন।

১২. টার্গেট মতো পড়া ঠিকঠাক করতে পারলে নিজেকে পুরস্কৃত করুন, তা যত ছোটই হোক।

১৩. যেখানে আপনি পড়তে কমফোর্ট ফিল করবেন, সেখানেই পড়বেন। সবসময় একই জায়গায় বা পরিবেশে পড়ার চেষ্টা করবেন।

১৪. এমন জায়গায় পড়তে বসুন যেখানে আপনি সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারবেন।

কীভাবে আপনার মনে রাখার ক্ষমতাকে বাড়াবেন?

অনলাইনে ফ্রী মডেল টেস্ট দিন নিজেকে সেরা হিসেবে গড়ে তুলুন
অনলাইন বিসিএস মডেল টেস্টবিসিএস মডেল টেস্ট
অনলাইন ব্যাংক জব মডেল টেস্ট: ব্যাংক জব মডেল টেস্ট
অনলাইন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাবিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা
মেডিকেল ডেন্টাল কলেজ ভর্তি পরীক্ষা: মেডিকেল ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষা
অনলাইন সরকারী নিয়োগ পরীক্ষাসরকারী নিয়োগ পরীক্ষা

০১. প্রথমত, যা আপনি মনে রাখতে চান তা মনোযোগ দিয়ে ধীরে ধীরে পড়ুন এমন ভাবে পড়বেন যেন নিজের কানে স্পষ্ট শুনুতে পান।কি পরছেন তা বুঝার চেষ্টা করুন … প্রথমবারে বুঝতে না পারলে পুনরায় পড়ুন … যে শব্দ বুঝতে পারছেন না তা দাগান সেইগুলোর অর্থ জানা না থাকলে তা খুঁজে জেনে নিন ।

০২. একই সময় যদি একটা বিষয়েই মনোযোগ দেন তাহলে এটা সহজ হবে। যে তথ্যগুলো মনে রাখতে চান সেগুলোকে নির্দিষ্ট করুন এবং শুধু তাতেই মনোযোগ দিন। যেমন, বইয়ের যে তথ্যগুলো আপনি নতুন দেখছেন বা কঠিন মনে হচ্ছে সেগুলোই হবে আপনার মনোযোগের বিষয়।

০৩. একটি বিষয়কে আপনি যত ভিন্ন দৃষ্টিকোণ এবং ব্যাখ্যা থেকে বুঝবেন তত এটি আপনার মনে রাখা সহজ হবে। যত পুরনো জানা তথ্যের সঙ্গে মিল-অমিল চিন্তা করবেন, তত আপনার মনে থাকবে।

০৪. যা মনে রাখতে চান, তাকে একটি পূর্ণাঙ্গ কাঠামোয় রূপান্তরিত করুন। আংশিক না করে বিষয়টি পুরোপুরি শিখতে বা বুঝতে চেষ্টা করুন। মনে রাখার ক্ষেত্রে ছবির ক্ষমতা অনেক বেশি। তাই কোনো জটিল বা ব্যাপক বিষয়কে ছবি, চার্ট বা ডায়াগ্রামে সাজিয়ে নিন।

০৫. মনে রাখার জন্যে প্রথমবার পড়ার দুই/ এক দিনের মধ্যেই পড়াকে রিভাইজ করুন।

০৬. এছাড়া তৈরি করতে পারেন মনে রাখার নানা ছন্দ। যেমন, মোঘল সাম্রাজ্যের পরম্পরা বোঝাতে ‘বাবার হইলো একবার জ্বর, সারিলো ঔষধে’ ছড়াটি আওড়ালেই [বাবর হুমায়ূন আকবর জাহাঙ্গীর সাজাহান আওরঙ্গজেব] প্রমুখ মোঘল বাদশাহদের নাম একের পর এক বলে দেয়া যায়।
মনে রাখার জন্য আমি একটা টেকনিক ফলো করি … জানি না অন্য কারো ক্ষেত্রে কাজ করে কিনা … সেইটা হল ক্যামেরা টেকনিক
এইটা একধরনের মনে রাখার গেইমের মত …
যেমন আমি কোন নম্বর বা লাইন বা প্যারা এইবার দেখে চোখ বন্ধ করে ফেলি অনেকটা ক্যামেরায় ছবি ধারণ করার মত…তারপর চিন্তা করি সেখানে কি কি ছিল … এর পর ওই তথ্যের সাথে মিলায় দেখি কতটুকু মিলল…
এভাবে কয়েক বার ট্রায় করি … অন্য যে কোন পদ্বতির চেয়ে এই পদ্বতিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দ্রুত ও ভালো মনে থাকে …যারা আগে ট্রায় করেন নি তারা ট্রায় করে দেখতে পারেন …
এতে আপনার মনে রাখার ক্ষমতা বাড়বে …

ব্যাস, পেয়ে গেলেন তো ভালো ছাত্রদের গোপন রহস্য! এবারে পড়তে বসে এগুলাকে প্রয়োগ করে ফেলেন, সহজেই মনে রাখতে পারবেন সবকিছু।
এতো টিপস বা পরামর্শের পরও যাদের সাইন্সের সাবজেক্ট গুলো বুঝতে বা পড়তে বিরক্তি লাগে বা পড়তে ইচ্ছা করে না তারা আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ।
আমি এক সাপ্তহে সাইন্সের সব সাবজেক্ট এমন ভাবে বুঝিয়ে কমপ্লিট করে দিয়ে আসব যাতে ভবিষ্যতে সাইন্সের সাবজেক্টের জন্য আর কোন টিচার প্রয়োজন হবে না । এবং ভবিষ্যতে ইউনিভার্সিটি ভর্তি পরিক্ষায় আর কোচিং করা লাগবে না ।

অনলাইনে ফ্রী মডেল টেস্ট দিন নিজেকে সেরা হিসেবে গড়ে তুলুন
অনলাইন বিসিএস মডেল টেস্টবিসিএস মডেল টেস্ট
অনলাইন ব্যাংক জব মডেল টেস্ট: ব্যাংক জব মডেল টেস্ট
অনলাইন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাবিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা
মেডিকেল ডেন্টাল কলেজ ভর্তি পরীক্ষা: মেডিকেল ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষা
অনলাইন সরকারী নিয়োগ পরীক্ষাসরকারী নিয়োগ পরীক্ষা