সংশোধন হচ্ছে নতুন পে-স্কেল

revise pay scaleসরকারি চাকরিতে প্রথম শ্রেণির ক্যাডারদের মত ননক্যাডারদের ৮ম গ্রেডে বেতন-ভাতার সুযোগ, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেল এবং টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড ছাড়াই শিক্ষকদের পদমর্যাদা ও সুবিধা বহাল রেখে বেতন স্কেলকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আন্দোলন নিরসনের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ উদ্দেশে ঘোষিত পে-স্কেলে সংশোধন আনা হচ্ছে বলে অর্থ বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্র থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

বেতন বৈষম্যের কারণে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ৩ সদস্যের একটি সচিব কমিটি গঠন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ এ কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এতে সদস্য হিসাবে আছেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী।

ইতোমধ্যে এই কমিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন, ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন, প্রকৃচি ও ২৬ ক্যাডার কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বলে জানা গেছে। এতে সংক্ষুব্ধ পক্ষগুলোর কাছ থেকে সুপারিশ চাওয়া হয়েছে। এছাড়া ইতোমধ্যে একটি টাস্কফোর্সও গঠন করা হয়েছে।

সচিব কমিটি সূত্রে জানা গেছে, তারা বেতন কাঠামোর বৈষম্য নিরসেনের উপায়গুলো চিহ্নিত করে দ্রুতই এ বিষয়ে একটি সমাধানে পৌঁছতে পারবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা সেলিম উল্লাহ খন্দকার জানান, সচিব কমিটি তাদের কাছে সুপারিশ চেয়েছে। টাইম স্কেলের বিকল্প হিসাবে পদোন্নতির বিষয়টি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। কিভাবে পে-স্কেলের সৃষ্ট বৈষম্য দূর করা যায় তা নিয়ে বিভিন্ন অধিদফতর ও সংস্থা প্রধানরা সুপারিশ তৈরি করছেন। অচিরেই তা সচিব কমিটির কাছে জমা দেয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা ওই কমিটির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোন বৈঠক করিনি। তবে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে কথাবার্তা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে অর্থ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, মূলত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বলে দেয়া হয়েছে কীভাবে তাদের পদমর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো যায় সে বিষয়ে সুপারিশ দিতে।

উল্লেখ্য, গত ১৫ ডিসেম্বর অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোর গেজেট জারি করে সরকার। কিন্তু নতুন পে-স্কেলে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাদ দেয়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিসিএস শিক্ষকদের বেতন আগের তুলনায় কয়েক ধাপ নিচে নেমে গেছে বলে অভিযোগ ওঠে।

এছাড়া বেতন বৈষম্যের অভিযোগ আনেন প্রকৌশলী, কৃষিবিদ, চিকিৎসক (প্রকৃচি) এবং বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ২৬টি ক্যাডার ও বিভিন্ন ফাংশনাল সার্ভিসের কর্মকর্তারাও। বেতন বৈষম্যের প্রতিবাদে প্রশাসন ক্যাডার বাদে সরকারি চাকরিজীবীরা আন্দোলনে নামেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন। প্রতিদিন দুই ঘণ্টা কর্মবিরত পালন করছেন প্রকৃচি ও ২৬ ক্যাডারের কর্মকর্তারা। একইভাবে ব্যাংক কর্মকর্তারাও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন।