শিক্ষায় বাজেট পর্যাপ্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষাখাতের জন্য বরাদ্দ পর্যাপ্ত নয়। এ বাজেটে শিক্ষার লক্ষ্য পূরণ হবে না, বরাদ্দ আরো বাড়ানো দরকার।’

nahid_1

শনিবার রাজধানীর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সুনির্দিষ্ট নীতিমালা’ বিষয়ক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘নতুন প্রজন্মকে আধুনিক ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করা হচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের এ লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। এ জন্য শিক্ষার মান বৃদ্ধি ও দক্ষ শিক্ষক তৈরি এবং এ লক্ষ্য অর্জনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে তাদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। শিক্ষার উন্নয়নে প্রয়োজনে সবাইকে আগের চেয়ে আরো বেশি কাজ করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে আমাদের যেমন মানসম্মত শিক্ষকের প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি। এবারের বাজেটে শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয়ের মোট বরাদ্দ গতবছরের তুলনায় বেশি হলেও পারসেন্টেজের তুলনায় তা আবার গতবছরের চেয়ে কম। গতবছর এ দুই মন্ত্রণালয় মিলে বাজেটের ১১ ভাগ বারাদ্দ দেয়া হলেও এবার দেয়া হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ভাগ।’

শিক্ষার মান বাড়াতে হলে শিক্ষকের মান বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘মানসম্মত শিক্ষকদের শিক্ষকতা পেশায় ধরে রাখতে সম্মানজনক বেতনভাতা প্রদানেরও নিশ্চয়তা থাকতে হবে। সে জন্যই প্রয়োজন বাজেটে শিক্ষাখাতের বরাদ্দ আরো বৃদ্ধি করা।’

বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারের প্রতি দাবি ও চাপ অব্যাহত রেখেছে বলে জানান তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এ সেমিনারে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সুনির্দিষ্ট নীতিমালার উল্লেখিত প্রস্তাবগুলো চূড়ান্ত করে একটা পর্যায়ে পৌঁছানো যায়, তাহলে জনবল বৃদ্ধি তো পাবেই তারপরও এ সংক্রান্ত জটিলতা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভূক্তির জটিলতা, কোন বিষয়ে কতজন শিক্ষক প্রয়োজন, শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতিসহ আরো অনেক সমস্যারই সমাধান হয়ে যাবে।’

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ও এসএমএস পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করে বলেন, ‘আগামী বছর থেকে এসএমএস পদ্ধতি তুলে দিয়ে শুধু অনলাইনে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা হবে। কারণ অনলাইনে আবেদন করলে, এক আবেদনেই পছন্দের ৫টি কলেজের নাম এন্ট্রি করে মাত্র ১৫০ টাকা ফি জমা দিলেই হয়। কিন্তু সেখানে এসএমএস পদ্ধতিতে আবেদন করলে ৫টি কলেজের জন্য পৃথকভাবে ১২০ টাকা করে মোট ৬০০ টাকা ফি জমা দিতে হয়। তাই শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের অর্থ সাশ্রয়ের জন্যই আগামী বছর থেকে এসএমএস পদ্ধতি বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট পোগ্রাম (সেসিপ)।