শিক্ষকদের আন্দোলন ‘নাথিং’ : অর্থমন্ত্রী

অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোয় সিলেকশন গ্রেড বহাল ও গ্রেড সমস্যা নিরসনের দাবিতে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনকে ‘নাথিং’ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আবারও বলছি তাঁদের এই আন্দোলন নাথিং।’

abul-mal-abdul-muhit_83

‘যে বেতন কাঠামো ঘোষণা করা হয়েছে, সেই কাঠামো অনুযায়ী তাঁরা কী পাচ্ছেন, কী পাচ্ছেন না, তা না জেনেই তাঁরা (শিক্ষকরা) আন্দোলন করছেন। তাঁদের এই আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই’, যোগ করেন অর্থমন্ত্রী।

বক্তব্যের সময় শিক্ষকদের প্রশ্ন করে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য কী আন্দোলন করছেন?’

অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের সময় এক সাংবাদিক প্রশ্ন করে বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও আন্দোলন থেকে সরছেন না আবার সরকারও নিজ সিদ্ধান্তে অটল। এ ক্ষেত্রে সমাধান কীভাবে আসবে? জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সমাধান দেওয়ার কিছু নেই।’

আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে শিক্ষকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন জানিয়ে একজন সাংবাদিক জানতে চান, ‘যদি শিক্ষকরা শাটডাউনে যান তাহলে, সরকার কী করবে?’ এ সময় ক্ষুব্ধ কণ্ঠে মন্ত্রী বলেন, ‘দেখি না, তারা কতটুকু যেতে পারে।’

এর আগে গতকাল শনিবার অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোয় সিলেকশন গ্রেড বহাল ও গ্রেড সমস্যা নিরসনের দাবিতে ১১ জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরুর ঘোষণা দেন দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এ সময় ক্লাস-পরীক্ষা ও সান্ধ্যাকালীন কোর্সগুলোও বন্ধ থাকবে।

গতকাল দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা আলোচনার মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত নেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ড. এ এইচ এম মাকসুদ কামাল সংগঠনের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানান।

মাকসুদ কামাল বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী আমাদের যে আশ্বাস দিয়েছিলেন, তা তিনি রাখতে পারেননি। ব্যর্থ হয়েছেন। তাই এই কর্মসূচি।’