লক্ষ্য যদি ‘ক’ ইউনিট

ঢাবি নিউজ: গবেষণা ও নতুন কিছু জানার প্রত্যয় নবীনদের চোখে ঘুরছে। তাই বিজ্ঞান বিভাগের একটি বড় অংশের শিক্ষার্থীরা স্বপ্ন বুনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলকে ঘিরে। মানে হচ্ছে ‘ক’ ইউনিটকে ঘিরে। সবাই চান পছন্দসই বিষয়ে পড়তে। এজন্য প্রস্তুতির মাত্রাটিও অন্যরকম।

51924958

আগামী ৩০ অক্টোবরে ক ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্র প্রস্তুতির শেষ নেই বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের। এবার ২০১৫-১৫ শিক্ষাবর্ষে ‘ক’ ইউনিটের ১ হাজার ৬৬০ আসন। তার বিপরীত প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ভর্তিচ্ছু আবেদন করছে ৮০ হাজার শিক্ষার্থীরও বেশি। প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৫০ জন। সুতরাং প্রতিযোগিতা যে কত তীব্র হয় তা সহজেই অনুমেয়।

ইউনিটের শর্ত
‘ক’ ইউনিটের অধীন ৫টি অনুষদ ও ৪টি ইনস্টিটিউটে বিভাগ রয়েছে মোট ২৭টি। এই ২৭টি বিভাগে ভর্তির জন্যই রয়েছে আলাদা আলাদা শর্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির আবেদনপত্রের জন্য এইচএসসি এবং এসএসসি এই দুই পরীক্ষা মিলিয়ে পেতে হবে ন্যূনতম সিজিপিএ ৮। পরীক্ষার্থী যে সেশনে পরীক্ষা দেবে তাকে অবশ্যই ওই বছর অথবা তার এক বছর আগে এইচএসসি পাস করতে হবে। বলে রাখা ভাল এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নতুন নিয়মে ভর্তি পরীক্ষা একবারের বেশি দিতে পারবে না।

পরীক্ষা পদ্ধতি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হয় অবজেক্টিভ প্রশ্নের মাধ্যমে। একজন ভর্তিছুকে মোট ২০০ মার্কসের পরীক্ষার ভিতর দিয়ে যেতে হয় যার মধ্যে ১২০ নাম্বার থাকে ভর্তি পরীক্ষার আর বাকি ৮০ নাম্বার থাকে তার এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে। চতুর্থ বিষয় বাদে প্রাপ্ত এইচএসসির নাম্বারকে ১০ দ্বারা গুণ করে আর এসএসসি পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় বাদে প্রাপ্ত নাম্বারকে ৬ দ্বারা গুণ করে এই নম্বর হিসাব হয়। এই ধরুন একজন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় পেয়েছে (চতুর্থ বিষয় বাদে) জিপিএ ৪.৬০ আর এসএসসিতে ৪.৭৫। তাহলে তার এই ৮০ নাম্বারের ভিতর স্কোর দাঁড়াবে- এইচএসসি ৪.৬০–১০= ৪৬ এসএসসি-   ৪.৭৫–০৬= ২৮.৫, মোট স্কোর= ৭৪.৫। এই ৮০ নম্বরে প্রাপ্ত নাম্বার একজন শিক্ষার্থীর অবজেক্টিভ পরীক্ষায় ১২০ এ প্রাপ্ত নাম্বারের সাথে যোগ করে নির্ধারণ করা হবে তার মেধাক্রম। অতএব এই ব্যাপার স্পষ্ট এইচএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষায় ভাল নম্বর পেতে হলে মূল পরীক্ষায় যাওয়ার আগে ভাল অবস্থান করে দিতে পারে। এবার আসা যাক ১২০ মার্কসের অবজেক্টিভ নিয়ে। এতে বিষয় থাকবে গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান আর জীব বিজ্ঞান। প্রত্যেক বিষয়ে ৩০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। তবে যদি গণিত বা জীব বিজ্ঞান এইচএসসিতে না থাকে তবে বিকল্প হিসেবে বাংলা বা ইংরেজিতে দিতে পারে। এই পরীক্ষার সময় বরাদ্দ ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট।

ইউনিটের বিষয়
বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে— ১. পদার্থ বিজ্ঞান, ২. গণিত,৩. রসায়ন, ৪. পরিসংখ্যান, প্রাণপরিসংখ্যান এবং তথ্যপরিসংখ্যান বিভাগ। জীববিজ্ঞান অনুষদের অধীনে—  ১. মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ, ২. উদ্ভিদবিজ্ঞান, ৩. প্রাণিবিদ্যা, ৪. প্রাণ রসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান,৫. মনোবিজ্ঞান, ৬. অণুজীব বিজ্ঞান, ৭. মত্স্যবিজ্ঞান এবং ৮. জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগ। ফার্মেসী অনুষদের অধীনে— ফার্মেসী বিভাগ। আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের অধীনে— ১. ভূগোল ও পরিবেশ এবং ২. ভূতত্ত্ব বিভাগ।

ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের অধীনে— 
১. ফলিত পদার্থবিজ্ঞান, ইলেক্ট্রেনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ২. এ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ৩. কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ। পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধীনে ফলিত পরিসংখ্যান; পুষ্টি ও খাদ্য ইনস্টিটিউটের অধীনে পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান; তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধীনে তথ্যপ্রযুক্তি; ইনস্টিটিউট অব      লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির অধীনে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, লেদার প্রোডাক্টস ইঞ্জিনিয়ারিং।