মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ২৪ অক্টোবর

ওসমানী মেডিকেল২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা। এর মধ্যে মেডিকেলে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা যাতে প্রতারণার ফাঁদে না পড়েন, সেজন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে জারি করা হয়েছে সতর্কবার্তা।

এদিকে মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস এবং ডেন্টাল কলেজের বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা তদারকির জন্য ২৩টি কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কমিটিগুলো দুই থেকে পাঁচ সদস্যদের।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়। যার বিষয়বস্তু ছিল ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস/বিডিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন টিম গঠন। কমটির সদস্যরা হচ্ছেন যুগ্ম সচিব, উপসচিব, সিনিয়র সহকারী সচিব, সহকারী সচিব, পরিচালক, উপপরিচালক এবং অধ্যক্ষ। কমিটির কাজ হচ্ছে কেন্দ্রগুলোতে কোনো অনিয়ম হচ্ছে কিনা, তা তদারকি করা।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের চিকিৎসা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়নের পরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল হান্নান জানান, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্যই কেন্দ্র পরিদর্শনে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২২টি সরকারি মেডিকেল ও একটি ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা এক যোগে অনুষ্ঠিত হবে।

মন্ত্রণালয় থেকে আগেই নির্দেশ দেয়া হয়েছে, পরীক্ষা চলাকালে হল সুপার, পরিদর্শক এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সঙ্গে সেল ফোন বা মোবাইল রাখা যাবে না। কারও সঙ্গে সেল ফোন বা মোবাইল ফোন থাকলে তা অসদাচরণের শামিল বলে গণ্য হবে। কমিটির সদস্যদের নিজ নিজ কেন্দ্রের পরিদর্শন প্রতিবেদন পূরণ করে স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে।

 

ডা. আবদুল হান্নান জানান, এবার মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ৬৯ হাজার ৪৭৭ শিক্ষার্থী। এক ঘণ্টার ভর্তি পরীক্ষা এমসিকিউ পদ্ধতিতে হবে। পাস নম্বর ৪০।

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় যাতে শিক্ষার্থীরা প্রতারণার ফাঁদে না পড়ে, সেজন্য ২ সেপ্টেম্বর সতর্কবার্তা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সতর্কবার্তায় নিবিড়ভাবে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করে যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে ছাত্রছাত্রীদের উপদেশ দেয়া হয়।

বার্তায় বলা হয়, প্রতি বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে কিছু কুচক্রী, দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি বা গ্রুপ কোচিং সেন্টারের নামে বা ব্যক্তিগতভাবে গোপনে বড় অঙ্কের টাকা দাবি করে থাকে। শর্ত থাকে, ভর্তির জন্য নির্বাচিত না হলে টাকা ফেরত দেয়া হবে। এবারও এর পুনরাবৃত্তি হচ্ছে বলে অধিদফতর জানতে পারে। পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন বা ডিজিটাল ডিভাইসসহ ক্যালকুলেটর, হাতঘড়ি বা পকেটঘড়ি ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষেধ বলে সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়।

১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ২০ থেকে বাড়িয়ে ৪০ করা হয়েছে। এ বছর থেকেই এ নিয়ম কার্যকর হচ্ছে। এছাড়া ভর্তি প্রক্রিয়ায় বড় কোনো পরিবর্তন আসছে না বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, দেশের ২২টি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও একটি ডেন্টাল কলেজের আসনসংখ্যা ৩ হাজার ৬৯৪। এর মধ্যে মেডিকেল কলেজের আসন সংখ্যা ৩ হাজার ১৬২ এবং ডেন্টাল কলেজের আসন সংখ্যা ৫৩২। এছাড়া ৫৪টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের আসন সংখ্যা ৪ হাজার ৮০০ এবং আটটি বেসরকারি ডেন্টাল কলেজে আসন রয়েছে ১ হাজার ৫০টি।