বুয়েট নয়, সিদ্ধান্ত নেবেন চ্যান্সেলর

BUET_LOGO_large.svg

বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের বহিষ্কারের ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে সে ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার এখতিয়ার কেবল বুয়েট চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক খালেদা একরাম।

আজ সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতা বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারে ছাত্রলীগের আলটিমেটামের প্রসঙ্গে বুয়েট ভিসি বলেনে, চলমান বিষয়ে যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে তা আমাদের সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হয়েছে। সিন্ডিকেটের সব সিদ্ধান্তের রিপোর্ট আমরা আমাদের মহামান্য চ্যান্সেলরের হাতে দিয়েছি। এখন তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন আমরা তা মেনে নেব।

তিনি বলেন, এযাবতকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব ঘটনা ঘটেছে আমরা এর সবকিছুই  চ্যান্সেলরের কাছে রিপোর্ট করেছি। এখন তিনি আমাদের যে সিদ্ধান্ত দেবেন আমরা সেটা মেনে নেব। ছাত্রদের বিরুদ্ধে যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছি সেটাও আমরা তাকে জানিয়েছি।

এসময় তিনি বলেন, আজকে আমাদের সিন্ডিকেট বৈঠক হবে। সেই বৈঠকের পরে আমরা ছাত্রদের সাথে বসবো।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সংকট নিয়ে আমরা তিন দফা বৈঠক করেছি। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশে সুস্পষ্টভাবে কোনো কিছু বলা নেই। তাই আমরা সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুসারে একজন আইনজীবী নিয়োগ করেছি। আমরা ২৮ তারিখে তার মতামত পেয়েছি। ২৯ তারিখে সিন্ডিকেট বৈঠকে যা যা করার দরকার তা করেছি এবং তার সব রিপোর্ট আমরা চ্যান্সেলর মহোদয়ের হাতে দিয়েছি।

এর আগে সকাল থেকে বুয়েট ক্যাম্পাসে শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের শাস্তি এবং ছাত্রলীগ নেতাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে গণসংহতি ও সমাবেশ করেছে ছাত্রলীগ।

প্রসঙ্গত, গত ২১ এপ্রিল শিক্ষক মারধরের ঘটনায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শুভ্র জ্যোতি টিকাদার এবং সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ কনকসহ চারজনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়। এর মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন এবং বাকিদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

জানা যায়, গত ১২ এপ্রিল যুদ্ধাপরাধী মো. কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মন্তব্য করেন বুয়েটের মেক্যানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম। এরই জের ধরে পরের দিন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতারা ওই শিক্ষককে তার অফিসে মারধর করে। পরে এ নিয়ে তদন্ত কমিটি করে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। গত ১৮ ও ১৯ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় তাদের বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরবর্তী সময়ে ২১ এপ্রিল রাতে বহিষ্কারের বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে তাদেরকে জানানো হয়।