বিসিএসে উত্তীর্ণদের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু!

৩৪তম বিসিএসে উত্তীর্ণ ৮৯৮ জনকে নন-ক্যাডার হিসেবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের অধীন নন-ক্যাডার পদের মতো তাঁদেরও দশম গ্রেডে নিয়োগ পাওয়ার কথা। কিন্তু প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তাঁদের দুই ধাপ নিচে ১২তম গ্রেডে (১১,৩০০ টাকা, প্রশিক্ষণবিহীন হওয়ায়) নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সাধারণত তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা এই গ্রেডে বেতন পান।

এ নিয়ে শুধু সুপারিশপ্রাপ্তরাই নন, বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষকদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা বলছেন, জটিলতায় ফেলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকদের পদমর্যাদা অবনমন করে রাখার চেষ্টা চলছে।

তবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব মোহাম্মদ আসিফ-উজ-জামানের মতে, যেহেতু প্রধান শিক্ষকের পদটি গেজেটেড হয়েছে, তাই তাঁরা পিএসসির কাছে এই পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেন। সে অনুযায়ী ওই সব প্রার্থীর সুপারিশ করে পিএসসি। এখন বিদ্যমান নিয়মে প্রধান শিক্ষকেরা যে গ্রেডে নিয়োগ পান, সেভাবেই হবে। এখানে তাঁদের কিছু করার নেই।

পিএসসি ও মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত ১০ আগস্ট ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে নন-ক্যাডার হিসেবে ৮৯৮ জনকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে (দ্বিতীয় শ্রেণি) নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। কিন্তু এত দিন পরও তাঁদের নিয়োগ দিতে পারেনি মন্ত্রণালয়। সুপারিশপ্রাপ্ত কয়েকজন প্রার্থী ও একাধিক প্রধান শিক্ষক বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের পদটি ২০১৪ সালে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করেছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু তখন মন্ত্রণালয় কৌশলে প্রধান শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণ করে ১১ (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) ও ১২তম গ্রেডে (প্রশিক্ষণবিহীন)। এখন বিসিএসে উত্তীর্ণদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম বাস্তবায়ন করতে চাইছে। অথচ নন-ক্যাডার পদে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন পদে যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন বা পেতে যাচ্ছেন, তাঁরা সবাই দশম গ্রেডে যোগ দিয়েছেন বা দিচ্ছেন।

প্রধান শিক্ষক হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্তদের একজন হাবিবুর রহমানের প্রশ্ন, যদি অন্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থদের দশম গ্রেডে নিয়োগ দেওয়া হয়, তাহলে তাঁদের কেন এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হবে। এ রকম করলে মেধাবীরা আর শিক্ষকতায় আসতে চাইবেন না।