বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার বিকল্প ভাবছে সরকার

সময়, খরচ এবং শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষার বিকল্প ভাবছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুক্তি, ভর্তি পরীক্ষা না থাকলে শিক্ষার্থীরা ঝামেলা এড়ানো ছাড়াও পছন্দের বিষয়ে ভর্তি হতে পারবে।

বর্তমানে এইচএসসি পরীক্ষার পর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়।

ভর্তি পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের এইচএসসি পরীক্ষার পর উচ্চমূল্যে কোচিং, কোচিং গাইড ক্রয়, ভর্তি ফরম পূরণে অনেক অর্থ ব্যয় করতে হয়। এছাড়াও পরীক্ষার জন্য দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে একেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটাছুটি করতে হয় শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের।

পরীক্ষার্থীদের এই কষ্ট লাঘব এবং অর্থ অপচয় রোধে ভর্তি পরীক্ষার বিকল্প ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

গত বছর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা চালুর উদ্যোগ থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগ ভেস্তে যায়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, একান্তই যদি ভর্তি পরীক্ষা নিতে হয় তাহলে এইচএসসি পরীক্ষার পরপরই নিতে হবে। এতে কোচিং সেন্টারগুলো অর্থের জন্য শিক্ষার্থী ভেড়াতে পারবে না। এতে সময়ও বাঁচবে। ওই পরীক্ষার ভিত্তিতে আগ্রহের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবে।

এ ব্যাপারে শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ভর্তি পরীক্ষা আছে বলেই কোচিং সেন্টারগুলো পরীক্ষার্থীদের নিয়ে ব্যবসা করে। শিক্ষার্থীদেরও অর্থ ও সময় অপচয় ছাড়াও অনেক কষ্ট করতে হয়। এজন্য ভর্তি পরীক্ষার বিকল্প বের করা প্রয়োজন।

শিক্ষার্থীদের পছন্দের বিষয়ে ভর্তি করাতে বর্তমান ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন প্রয়োজন আছে বলে মনে করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী ভর্তি পরীক্ষার বিকল্প ভাবার কথা বলে আসছেন। এর আগেও ভর্তি পরীক্ষার বিকল্প ভাবার বিষয় নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু হলেও স্বায়ত্তশাসিত ঢাকা, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর বিরোধিতা করে।

ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার দেয়ার সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। যদিও আন্দোলন শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম বলেন, এই চার বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষাসংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সবার মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।