বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস-এর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

Application Deadline: 2 July 2017

হবু মায়েরা রোজা রাখতে পারবেন কি না, সে ব্যাপারে চিন্তিত হন অনেকেই। হয়তো গর্ভবতী মা রোজা রাখতে চাইলেন, কিন্তু বাদ সাধলেন আপনজনেরা। হবু মা এবং তাঁর অনাগত সন্তানের সুস্থতা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন তাঁরা। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভাবস্থায় রোজা রাখলে কোনো ক্ষতি নেই। তাই এ নিয়ে খুব দুশ্চিন্তারও কিছু নেই। এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাওফিকা হোসাইন বলেন, ‘গর্ভবতী মায়ের রোজা রাখতে কোনো নিষেধ নেই। তিনি রোজা রাখতে পারেন, তবে তাঁর নিজের এবং গর্ভের সন্তানের কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না, সেদিকেও খেয়াল রাখা প্রয়োজন। মা ও তাঁর গর্ভের সন্তানের কোনো সমস্যা না হলে মা রোজা রাখতে পারেন অনায়াসেই।’ জেনে নিন হবু মায়েদের জন্য তাঁর পরামর্শ— প্রথম তিন মাস  এ সময় কারও কারও অতিরিক্ত বমি হতে পারে। খুব বেশি বমি হলে তাঁর রোজা না রাখাই ভালো।  এ ছাড়া অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা থাকলেও রোজা না রাখাই ভালো।  পরবর্তী দিনগুলোতে গর্ভধারণের তিন মাসের পর থেকে সাধারণত বমির সমস্যা কমে আসে। এ সময় মা রোজা রাখতে পারেন।  তবে দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার ফলে যদি গর্ভের সন্তানের নড়াচড়া কমে যায়, তাহলে সেই মায়ের রোজা না রাখাই ভালো।  যদি রোজা রাখতেই চান তবে সতর্ক থাকতে হবে।  অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হেব।  রোজা রাখলে যা করবেন  রাতে, বিশেষ করে শেষরাতে, প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা প্রয়োজন।  অনেকে আবার একবারে অতিরিক্ত পানি পান করে ফেলেন এবং পরে অস্বস্তিতে ভোগেন। তাই পানি পান করার সময় খেয়াল রাখবেন, যেন খুব বেশি পানি পান করার ফলে আপনার অস্বস্তি না হয়।  পানির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পানীয়ও পান করতে পারেন। লেবুর শরবতে চিনির পাশাপাশি কিছুটা লবণ মিশিয়ে নেওয়া ভালো। গ্লুকোজও খেতে পারেন।  শেষরাতে দুধও খেতে পারেন।  ইফতারের সময় ভাজাপোড়া খাবারের চেয়ে অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়াই বেশি ভালো।  অনেকের গর্ভাবস্থায় কিছু ওষুধ সেবন করতে হয়। তাঁরা দিনের বেলার ওষুধগুলো রাতে খেয়ে নেবেন। যে ওষুধগুলো সারা দিনে একবারই খেতেন, সেগুলো রাতে খেয়ে নিতে পারেন। আর যে ওষুধগুলো মোট দুবার খেতেন, সেগুলো ইফতারের সময় একবার ও শেষরাতে আরেকবার খেয়ে নিতে পারেন।