দেশের পঞ্চম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে খুলনায়

দেশের পঞ্চম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হবে খুলনায়। এই  বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে বিল পাস করেছে জাতীয় সংসদ। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ রোববার সংসদের অধিবেশনে ‘খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিল-২০১৫’ পাসের জন্য তুলতে কণ্ঠভোটে তা অনুমোদন পায়। গত ৯ মার্চ শিক্ষামন্ত্রী বিলটি সংসদে উত্থাপনের পর সেটি যাচাইয়ের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল।

Khulna agricaltural university

বিলে বলা হয়, কৃষি বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষার প্রসার এবং কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়ে উন্নত শিক্ষাদান, গবেষণা, প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও হস্তান্তর এবং দেশীয় কৃষির উৎপাদন বাড়ানোর স্বার্থে খুলনা অঞ্চলে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, এখন রাষ্ট্রপতি সই করলেই বিলটি আইনে পরিণত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য কৃষি বিজ্ঞান ও গবেষণায় সম্পৃক্ত কোনো কৃষিবিদকে চার বছরের জন্য এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ দেবেন। একজন দুই মেয়াদের বেশি ওই পদে থাকতে পারবেন না।

এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে শিক্ষার্থীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায় ছয় মাসের ইন্টার্নশিপের সুযোগ পাবেন।

২০১১ সালের ৫ মার্চ খুলনার খালিশপুরে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনায় একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেন।

এরপর নগরীর দৌলতপুরের কৃষি সম্প্রসারণ প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অব্যবহৃত ৫০ একর জমি এবং পাশের ব্যক্তি মালিকানাধীন ১২ একর জমি নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার প্রাথমিক পরিকল্পনা করা হয়।

গত ৫ জুলাই মন্ত্রিসভা খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়া অনুমোদন করলে তা পাসের জন্য সংসদে পাঠানো হয়।