জেনে নিন চাকরি না হওয়ার কারণ

বিপুল জনসংখ্যার দেশে চাকরি পাওয়া যেন সোনার হরিণ। দেশে অগণিত চাকরি আছে কিন্তু যথেষ্ট দক্ষতা ও যোগ্যতার অভাবে অনেকেরই চাকরি হচ্ছে না। বাস্তবতা হলো- হাজার হাজার আবেদন করেও চাকরির দেখা মিলছে না। অথচ জব সাইটগুলো চাকরির অফার করছে। আসলে চাকরি না পাওয়ার পেছনে রয়েছে অনেক কারণ। আসুন জেনে নেই কারণগুলো-

১. প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষিত হয়ে আসা প্রার্থীরা (শীর্ষস্থানীয় কর্পোরেট ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোর) চাহিদা মেটাতে পারছেন না। কারণ প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় কোন প্রি-এমপ্লয়েমেন্ট স্কিলস ট্রেনিং দেওয়া হয় না।

২. চাকরির ক্ষেত্রে ইংরেজি জানা অন্যতম একটি রিকোয়েরমেন্ট হিসেবে দাঁড়িয়েছে। তাই চাকরির জন্য একটি ইংলিশ ফর এমপ্লয়েমেন্ট কোর্স করতে পারেন। বাংলাদেশে ৭০% প্রার্থী ইংরেজি না জানার কারণে চাকরি পান না।

৩. একটি নির্ভুল পূর্ণাঙ্গ সিভি (কারিকুলাম ভিটাই) কিভাবে তৈরি করতে হয়, সেটাও অনেকে জানেন না। চাকরির জন্য সিভি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা স্ট্যান্ডার্ড হওয়া খুবই জরুরি।

৪. চাকরির জন্য কভার লেটার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই এ ব্যাপারে আগ্রহ বোধ করেন না। কভার লেটার কিভাবে তৈরি করতে হয়, তা-ও অনেকে জানেন ন
৫. চাকরিপ্রার্থীরা সিভির মধ্যে যে রেফারেন্স ব্যবহার করেন, তা অনেক সময় সঠিক হয় না। দেখা যায়, রেফারেন্সিয়াল ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি খুব বেশি রিকমেন্ডেশন করতে পারেন না।

৬. অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রার্থীরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইন্টারভিউ সেশনে অংশগ্রহণ করতে পারেন না। এটা প্রমাণ করে যে, প্রার্থী সময়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নন।

৭. অনেক প্রার্থী ইন্টারভিউ দিতে যাওয়া প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে স্টাডি করেন না। ফলে ওই প্রার্থী সে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কোন কিছু বলতে পারেন না। এমনকি কেন চাকরি করবেন, তা-ও বোঝাতে পারেন না।

৮. ইন্টারভিউ বোর্ডে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দিতে হয়। প্রার্থীকে হাস্যোজ্জ্বল থাকতে হয়। অনেকে বরং ইন্টারভিউ বোর্ডে সৌজন্য বোধ প্রদর্শন করেন না। যা প্রার্থীকে অনেকটা নেগেটিভ ভাবতে সাহায্য করে।

৯. প্রার্থীত পদের জন্য নিজের উপযুক্ততা যাচাইয়ের পক্ষে ৩-৪টি যুক্তি বা অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে ব্যর্থ হন।

১০. ফ্রেশ গ্রাজুয়েটরা অনেক সময় অবাস্তব বেতন প্রত্যাশা করে থাকেন। এটিও চাকরি না হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে।

১১. প্রার্থীরা জব সাইটগুলোর মাধ্যমে অনেক বেশি আবেদন করেন। ফলে সময়মতো বলতে পারেন না যে, তারা কোন কোম্পানিতে কোন পদের জন্য আবেদন করেছেন।