জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুলের কারণে বিপাকে শিক্ষার্থীরা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুলের কারণে চলতি বছর অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তিতে বিড়ম্বনায় পড়ছেন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে পাস করা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।
national universityতাদের অভিযোগ, অনলাইনে আবেদন করার সময় একটি বিষয় ছাড়া অন্য বিষয়ে পছন্দের অপশন দিতে পারছেন না তারা। এতে মেধা থাকা সত্ত্বেও মাদ্রাসা থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা বাংলা, ইংরেজি, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, ইতিহাস, অর্থনীতিসহ কোনো বিষয়ে আবেদন করতে পারছেন না।
বিষয়টি অনিচ্ছাকৃত ভুল দাবি করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসা বোর্ড পরস্পরকে দোষারোপ করছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, মাদ্রাসা বোর্ড সঠিক তথ্য না দেওয়ার কারণে এমনটি হয়েছে। অন্যদিকে মাদ্রাসা বোর্ড বলছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে তারা সব ধরনের তথ্য দিয়েছে। তবে এই সমস্যা শিগগিরই সমাধান হয়ে যাবে বলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
২০১৫ সালে আলিম পাস করা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু জোবায়ের আল হাসান, ইউসুফ মামুন, আবু মুছা, নাজমা আক্তার, সালমা বেগমসহ কয়েকজন সমকালকে জানান, ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া অনার্স প্রথম বর্ষের অনলাইন ভর্তিতে তারা পছন্দের অপশন দিতে পারছেন না। ইসলামিক স্টাডিজ ছাড়া অন্য কোনো বিষয় পছন্দ দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়নি।
তারা বলেন, ‘আমরা এখন দাখিল ও আলিমে ২০০ নম্বরে বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে পড়াশোনা করে এসেছি। এরপর যেকোনো বিষয়ে ভর্তিতে কোনো বাধা থাকার সুযোগ নেই। তবুও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সব বিষয় অপশন বন্ধ করে রেখেছে।’
বিষয়টি স্বীকার করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণি ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনার মূল কমিটির সদস্য ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোবাশ্বেরা খানম বলেন, ‘মাদ্রাসা বোর্ডের অসহযোগিতার কারণে এমন হয়েছে। তারা আমাদের নতুন বিষয়গুলোর কোড নম্বর দেয়নি। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম ছায়েফ উল্লাহ সমকালকে বলেন, ‘এটি মাদ্রাসা বোর্ডের কোনো ভুল নয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ ভুল করেছেন। বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।’
তিনি বলেন, ‘মাদ্রাসার আলিমে যে সব বিষয় পাঠ্য ছিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সে সব বিষয়ে অনার্সে ভর্তি হতে কোনো বাধা নেই।’
বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কারিকুলাম ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. শাহাজান জানান, কিছু কারিগরি ত্রুটির কারণে এমন হয়েছে। এখন থেকে মাদ্রাসা ছাত্রছাত্রীরা সব বিষয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন।
সূত্র: সমকাল