কেন আপনি চাকুরি পাচ্ছেন না ?

১.    প্রথমত, সিভি ড্রপ করার পরও প্রতিষ্ঠান/ কোম্পানি হতে আপনাকে ডাকা হচ্ছে না ।
২.    বহু নির্বাচনী, লিখিত, ভাইবা ইত্যাদি পরীক্ষায় ভাল পারফর্ম করার পরও আপনি বার বার বাদ পরছেন ।
৩.    ফটকা প্রতিষ্ঠান হতে চাকুরির ব্যাপারে প্রতারিত হয়ে চাকুরির আশা ত্যাগ করে হতাশায় ভোগছেন ।
৪.    প্রতিষ্ঠান/ কোম্পানির মালিক/ পরিচালক মূলত পদ, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী যাকে খুঁজছেন, আসলে আপনি নিজে সেরকম নন ।
৫.    আপনার যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ইত্যাদির অনুপাতে প্রতিষ্ঠান/ কোম্পানির নিকট আপনার প্রত্যাশা/ প্রাপ্তির পরিধি সামাঞ্জস্যহীন ও অসংগতিপূর্ণ ।
৬.    কোটা, তদবির, পরিচিতি, রেফারেন্স কিংবা অন্যান্য কোন বিশেষ কারনে যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও আপনার চাকুরি নাও হতে পারে ।
৭.    কর্মদাতা/ প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পদের জন্য বিভিন্ন ধরনের শর্তাদি আরোপ করে দেন এবং এই সমস্ত শর্তাদির কোন একটি লঙ্গন করার জন্যও আপনার চাকুরি নাও হতে পারে ।
৮.    ভিন্ন ভিন্ন পেশার ভিন্ন ভিন্ন পদের জন্য প্রতিটি মুহূর্তে আপনার সিভি আপডেট করা হয় না । একই সিভি একাধিক পদে ব্যবহার করার কারনে তা চাকুরি অনুসারে প্রাসঙ্গিক হয় না ।ফলে নিয়োগদাতার নিকট থেকে কোন রেসপন্স আসে না ।
৯.    বহু নির্বাচনী কিংবা লিখিত পরীক্ষায় নির্দিষ্ট সময়ের ভেতরে সঠিকভাবে উত্তর দেওয়া হয় না ।
১০.    ঐচ্ছিক/ বাধ্যতামূলক/ পাঠ্য সম্পর্কিত বিষয়সমূহে মৌলিক/ বাস্তবিক ও চর্চাগত দূর্বলতা ।
১১.    এছাড়াও উক্ত বিষয়সমূহে ভাল কমান্ড ও প্রাকটিস থাকা সত্ত্বেও আপনার চেয়ে দক্ষ ও মেধাবী চাকুরি প্রার্থীদের সাথে প্রতিযোগীতা করা ।
১২.    নিজের প্রতি অনাস্থা এবং নার্ভাস জনিত কারনে বারবার ভাইবা পরীক্ষাতে বাদ পরা ।
১৩.    ভাইবা বোর্ড আপনার কাছ থেকে সকল বিষয়ে যা কিছু আশা করেন তা দিতে না পারা ।
১৪.    অনেক ক্ষেত্রে, বিভিন্ন অসাধু প্রতিষ্ঠান/ কোম্পানির প্রতিযোগীতামূলক পাবলিসিটি/ প্রচার প্রচারনা/ দৃষ্টি আকর্ষণ/ সুনাম বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়সমূহও চাকুরি প্রার্থীদের বিব্রত করে থাকে ।
১৫.    সর্বোপরি, আপনি মূলত যে কাজের জন্য চাকুরি খুঁজছেন ঐ কাজ সম্পর্কে আপনার দূর্বলতা, অসাবলীলতা ও চার্চার অভাব এবং পূর্ব অভিজ্ঞতার অভাবে আপনার প্রত্যাশিত চাকুরি নাও হতে পারে ।

যেভাবে চাকুরি পেতে পারেন:

১.    প্রথমত, প্রতিষ্ঠান/ কোম্পানিতে সিভি ড্রপ করার পরও কেন আপনাকে ডাকা হয় না তার মূল কারন খুঁজে বের করে এর দ্রুত সমাধানমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন ।
২.    সাধারনত কুয়ালিফাইড প্রতিষ্ঠান/ কোম্পানিগুলো কুয়ালিফাইড কর্মী প্রত্যাশা করে থাকে । অতএব, তাদের চাওয়ার সাথে মিল রেখে আপনার কাঙ্খিত পদ অনুসারে সেই কুয়ালিটি নিজের মধ্যে সৃষ্টি করুন ।
৩.    আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, দক্ষতা কিংবা অভিজ্ঞতার সাথে মিল রেখে সঠিক ও প্রাসঙ্গিক পদের জন্য আবেদন করুন ।
৪.    নিয়োগদাতা/ মানবসম্পদ বিভাগ যে প্রক্রিয়ায় আপনাকে আবেদন করতে বলেন ঠিক সেই প্রক্রিয়ায় আবেদন করুন ।
৫.    একটি কথা মনে রাখার চেষ্টা করবেন, ‘চোখ যেমন আপনার মনের আয়না’ ; ঠিক তেমনি ‘সিভি হল আপনার নিজের আয়না’ ।তাই এই সিভিতে গরমিল থাকলে আপনাকে ঘোলাটে, ঝাপসা কিংবা ফ্যাকাশে দেখাবে ।
৬.    প্রতিটি ভিন্ন ধরনের চাকুরির ভিন্ন ধরনের পেশা/ কাজের জন্য ভিন্ন ধরনের সিভি তৈরী করুন ।
৭.    ৫টি মাধ্যমে আপনার সিভি ও আবেদনপত্র প্রতিষ্ঠান/ কোম্পানি/ হেড অফিসে পৌঁছানো নিশ্চিত করুন ।( যেমন: সরাসরি হাতে দিয়ে আসা, ডাক বা কুরিয়ারের মাধ্যমে, ইমেইলের মাধ্যমে, প্রতিষ্ঠান/ কোম্পানির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এবং অনলাইন জব পোর্টালগুলোর মাধ্যমে ।)
৮.    মনে রাখবেন, ‘সব ধরনের কাঠ দিয়ে যেমন ঘড়ের সাথির যেওয়া যায়না, ঠিক তেমনি অদক্ষ ও অকেজো কর্মী দিয়ে প্রতিষ্ঠানের সাফল্য আশা করা যায় না’ ।সুতরাং, অর্জিত দক্ষতাই  আপনাকে সাফল্যের পথ দেখাবে ।
৯.    প্রতিটি লিখিত/ ভাইবা পরীক্ষা থেকে ব্যর্থতাই একমাত্র পারে আপনাকে সাফল্যের পথ চিনিয়ে দিতে ।তাই এই ব্যর্থতাকে আপনার সর্বোচ্চ শিক্ষাগুরু হিসেবে বরন করে নিন এবং এখান থেকে আপনার ত্রুটি ও ক্যারিয়ার ঘাটতি সমূহ কমিয়ে আনুন ।
১০.    সর্বোপরি, লক্ষ্যটাকে গন্তব্য বানিয়ে বিশাল সম্ভামনাময় সাফল্যের সমূদ্রে ধীর-স্থির কঠোর পরিশ্রমকে বৈঠা হিসেবে তীব্র আকাঙ্খা বুকে ধারন করে স্বপ্নের তরী ভাসিয়ে দিন ।এই স্বপ্নের তরী গন্তব্যে পৌঁছাবেই একদিন, ইন্‌শাল্লাহ্  ।