কুয়েটে দুই শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে টানা ক্লাস বর্জন!

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট (বিইসিএম) বিভাগের দুই শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে ক্লাস বর্জন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা গত ২২ ডিসেম্বর থেকে এই কর্মসূচি পালন করে আসছেন। এ পর্যন্ত তাঁরা ৩৯ দিন ক্লাস বর্জন করেছেন।

পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণসহ নানা অভিযোগে বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইকরামুল হক ও প্রভাষক এস এম আরিফুর রহমানের অপসারণ চান শিক্ষার্থীরা।

২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিভাগে বর্তমানে দুটি ব্যাচ রয়েছে। দুই ব্যাচের শিক্ষার্থীরাই একসঙ্গে এ আন্দোলন করছেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষক ইকরামুল হক ও আরিফুর রহমান গত বছরের এপ্রিলে বিইসিএম বিভাগের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। উপাচার্যের আস্থাভাজন হওয়ায় নিয়োগের কয়েক মাস পর থেকেই তাঁরা শিক্ষার্থীদের ওপর নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি, গায়ে হাত তোলা, অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ, শিক্ষার্থীদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন দুই শিক্ষক। তাঁরা বিভাগে থাকলে শিক্ষার্থীদের নানা হয়রানির শিকার হতে হবে, এ কারণেই সবাই আন্দোলনে নেমেছেন।
তবে দুই শিক্ষক দাবি করেছেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাঁদের ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা নেই। শিক্ষার্থীরা যেসব অভিযোগ করেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

ইকরামুল হক বলেন, বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী ক্লাসে ৬০ শতাংশ উপস্থিতি না থাকায় তিনজন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। তা ছাড়া তিনি ও আরিফুর রহমানের ভাগ করে নেওয়া একটি বিষয়ে শিক্ষার্থীরা কিছুটা পিছিয়ে থাকায় তাঁরা এ অযৌক্তিক আন্দোলন করছেন।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করে আরিফুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো ক্লাস না করায় গত সেমিস্টারে তাঁর বিষয়ে ১৩তম ব্যাচের ১৮ জন ফেল করেন। তা ছাড়া একজন অন্য একটি বিষয়ের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় ফেল করেন। একই ধরনের বিষয় পরবর্তী সেমিস্টারে তাঁকে আবার পড়াতে দেওয়া হয়। এ কারণে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন।

এ বিষয়ে ছাত্রকল্যাণ পরিষদের পরিচালক অধ্যাপক সোবহান মিয়া বলেন, শিক্ষার্থীরা যে দাবিতে আন্দোলন করছেন, তার কোনো ভিত্তি নেই। একেকজন শিক্ষকের ক্লাস নেওয়ার ধরন একেক রকম। সুতরাং শিক্ষার্থীদের কোনো অভিযোগ আসলে অভিযোগই নয়। তবে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আশা করছেন, শিগগিরই ভুল-বোঝাবুঝির অবসান হবে।

 

সূত্র: ক্যামপাস নিউজ ২৪ ডট কম