আজ রোববারের জেএসসির পাটি গণিত পরীক্ষার ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস’ , পাওয়া যাচ্ছে ফটোকপির দোকানে

পাবনার চাটমোহরে আবারও পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে । আজ রোববার অনুষ্ঠেয় জেএসসির পাটি ‘গণিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র’  পাওয়া গেছে চাটমোহরের সব ফটোকপির দোকানে। পৌর সদরের বিভিন্ন ফটোকপির দোকান থেকে গোপনে অনেক অভিভাবককে এই প্রশ্নপত্র কিনে নিয়ে যেতে দেখা যায়। শনিবার রাত ১০টার দিকে জেএসসি পরীক্ষার গণিত বিষয়ে এবং সৃজনশীল বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে এক শ্রেণির অভিভাবকরা ওই প্রশ্নপত্র ২০০ থেকে ৫০০ টাকায় কিনে নিয়ে যান। ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে লেখা রয়েছে ‘জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা ২০১৪, ২০১৪ সালের সিলেবাস অনুযায়ী, বিষয় কোড ১০৯, ক বিভাগ পাটি গণিত, খ বিভাগ বীজ গণিত, গ বিভাগ জ্যামিতি, ঘ বিভাগ পরিসংখ্যান। প্রিন্ট করা ওই প্রশ্নপত্রের পাশাপাশি হাতে লেখা গণিত বিষয়ের প্রশ্নপত্রও পাওয়া গেছে।

প্রশ্ন ফাঁস

এ ব্যাপারে শনিবার রাত ১১টায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, রোববার পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর জানা যাবে ওই প্রশ্নপত্র সঠিক কিনা। এর আগে এ বিষয়ে কিছুই বলা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।

তবে চাটমোহরে পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রকে ‘ভুয়া’ বলে অভিহিত করে অভিভাবকদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এ ঘটনায় অনেক সচেতন অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়। চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম সংবাদিকদের কাছ থেকে ওইসব প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করেন। তিনি বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি খোঁজ-খবর নিচ্ছি। তবে তিনি এই গুজবে অভিভাবকদের কান না দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, এগুলো ভুয়াও হতে পারে। এদিকে একাধিক সূত্র জানায়, চাটমোহরের বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের মালিকরা এ প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত। যেসব শিক্ষার্থী নিয়মিতভাবে পড়াশোনা করে পরীক্ষা দিচ্ছে তাদের অভিভাবকরা প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, এর আগে চাটমোহরে বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে।

সৌজন্যেঃ সময়ের কণ্ঠস্বর 9..11.14