অবশেষে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত

অবশেষে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস বাংলাদেশে চালু হচ্ছে। এজন্য পাঁচ বছর আগে করা বিধিমালাটি সংশোধনের কাজ শুরু করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাত্র ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য ইউজিসি প্রতিষ্ঠা করা হলেও বর্তমানে দেশে ১০৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এ কারণে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণে হিমসিম খাচ্ছে নিয়ন্ত্রণকারী এ প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি অনুমোদন না পেলেও অবৈধভাবে কিছু বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমও নানা কৌশলে চলছে। ইউজিসি বেশ কয়েক বছর আগে বাংলাদেশে চলা ৫৬টি বিদেশি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছিল।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিদেশি শাখা ক্যাম্পাস অনুমোদন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিদ্যমান বিধিমালাটি পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন দিতে ইউজিসির এক সদস্যের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তবে শিক্ষাবিদদের পরামর্শ হলো, ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে নামকরা ও ভালোমানের কিছু বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস চালু করে দেখা যেতে পারে। কোনোভাবে ঢালাও অনুমোদন দেয়া যাবে না।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির সূত্র মতে, ২০১৪ সালের মে মাসে ‘বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানের শাখা ক্যাম্পাস বা স্ট্যাডি সেন্টার পরিচালনা বিধিমালা- ছক’ জারি করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর ২০টির বেশি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে শাখা ক্যাম্পাস বা স্ট্যাডি সেন্টার চালুর আবেদন করে। যার মধ্যে ইউজিসি তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে ইতিবাচক সম্মতি দেয়। কিন্তু তখন ওই বিধিমালার বেশকিছু বিধান এমনভাবে ছিল যার সুযোগে যেনতেন বিশ্ববিদ্যালয়ও শাখা খোলার সুযোগ পেত। আবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকেও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস চালু না করতে নানামুখী চাপ ছিল। এ রকম পরিস্থিতিতে তখন বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা চালুর অনুমোদন দেয়া বন্ধ করে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নতুন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি গত এপ্রিলে এ বিষয়ে একটি সভা করেন। সেখানে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস অনুমতি দেয়ার বিষয়টি আলোচনা হয়। এরপর বিদ্যমান বিধিমালাটি সংশোধন করতে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক আখতার হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান চৌধুরী ও ইউজিসির সচিব মো. খালেদ। ইতোমধ্যে কমিটি সভা করেছে। তাদের এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তবে কমিটি সময় বাড়ানোর আবেদন করবে বলে জানা গেছে।