আগের চার বছরের ধারাবাহিকতায় চলতি বছরেও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় যোগ্যতাভিত্তিক বা সৃজনশীল প্রশ্নের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। পিইসি পরীক্ষায় এবার ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের ৬৫ শতাংশ সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। বাকি ৩৫ শতাংশ ট্রাডিশনাল (সাধারণ) প্রশ্নে পরীক্ষা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সৃজনশীল প্রশ্নের সংখ্যা বাড়লেও বাড়ানো হচ্ছে না পরীক্ষার সময়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে শুরু হওয়া প্রাথমিক সমাপনীতে ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো ১০ শতাংশ সৃজনশীল প্রশ্নের আদলে যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন সংযোজন করা হয়। ২০১৩ সালে ২৫ শতাংশ, ২০১৪ সালে ৩৫ শতাংশ এবং ২০১৫ সালে ৫০ শতাংশ যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের। যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নে চিন্তা করে শিক্ষার্থীদের উত্তর লিখতে হয়। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থীই দুই ঘণ্টায় পরীক্ষা শেষ করতে না পারায় ২০১৩ সালে পরীক্ষার সময় ৩০ মিনিট বাড়িয়ে আড়াই ঘণ্টা করা হয়। ২০১৬ সালের পরীক্ষায় যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন ৬৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত হলেও সময় আড়াই ঘণ্টাই থাকছে।
যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নপত্র তৈরিতে অনেক শিক্ষকই এখনও দক্ষত অর্জন করতে পারেননি। শহর এলাকায় যোগ্য শিক্ষক থাকলেও গ্রাম এলাকার শিক্ষকদের অবস্থা খুবই খারাপ। ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মুখস্থবিদ্যায় নিরুৎসাহিত করতে যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নকাঠামো চালু করা হলেও সেই প্রশ্নেরই উত্তর দিতে শিক্ষার্থীরা নির্ভর করছে নোট বইয়ের উপর।
সৃজনশীল প্রশ্নের সংখ্যা বাড়ানো হলেও সময় না বাড়ানোর কারণে ক্ষুদে পরীক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কঠিন বলে মনে করছেন অভিভাবকরা।
জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) মহাপরিচালক মো. ফজলুর রহমান বলেন, ২০১৬ সালের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ৬৫ শতাংশ যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন থাকবে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কাঠামো ও নম্বর বিভাজন জাতীয় কর্মশালায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে প্রতি বিষয়ে যোগ্যতাভিত্তিক ৬৫ শতাংশ এবং ট্রাডিশনাল ৩৫ শতাংশ প্রশ্ন থাকবে। ২০১৮ সালে শতভাগ প্রশ্নই যোগ্যতাভিত্তিক (সৃজনশীল) করার চিন্তা রয়েছে বলে তিনি জানান।
সূত্র: জাগো নিউজ ২৪ ডট কম