শূন্যপদের চাহিদা পেলে নন-ক্যাডার পদে কেবলমাত্র ৩৫তম বিসিএস থেকে নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণির পদে তিন হাজার প্রার্থী নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানায় পিএসসি।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিপ্তরের অধীনে অন্তত চার হাজার কর্মচারীর পদ খালি। শিক্ষা ক্যাডারে সাড়ে তিন হাজার পদ খালি থাকলেও মন্ত্রণালয় থেকে কোনো উদ্যোগ নেই।
পিএসসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সর্বশেষ চূড়ান্ত পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া ৩৪তম বিসিএস থেকে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদে চার হাজার ৪৩৬ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।
এর মধ্যে ক্যাডার পদে দুই হাজার ১৭৭ জন এবং গত ১৪ আগস্ট পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে দুই হাজার ২৫৯ জনকে সুপারিশ করা হয়েছে। বিসিএস থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে ৮৯৮ জন এবং সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ৪৫০ জনকে নিয়োগের সুপারিশ এসেছে।
ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়, ৩৫তম বিসিএস থেকে ক্যাডার পদে দুই হাজার ২৫৮ জন নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। নন-ক্যাডার পদের অধিযাচনপত্র পাঠানোর জন্য সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অধিযাচনপত্র যথাসময়ে পাওয়া গেলে ৩৫তম বিসিএস থেকে ন্যূনতম তিন হাজার প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করা যাবে।
বর্তমানে ৩৬তম বিসিএসে দুই লাখ ২১ হাজার ৩২৬ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১৩ হাজার ৮৩০ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এছাড়া ৩৭তম বিসিএসের দুই লাখ ৪৩ হাজার ৪৭৬ জন প্রার্থী নিয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
পিএসসি জানায়, নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ বিধিমালা সংশোধনের পর ২০১৪ সাল থেকে পদ স্বল্পতার কারণে ক্যাডার পদে এবং নন-ক্যাডার প্রথম শ্রেণির পদে সুপারিশপ্রাপ্ত না হওয়া প্রার্থীদের নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণির পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর অনীহা এবং অলসতা কারণে শূন্যপদে পিএসসির মাধ্যমে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মেধাবীরা চাকরি পাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে সরকারি কর্ম কমিশন সম্প্রতি শূন্যপদের তালিকা চেয়ে জনপ্রশাসনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় বলে জানান পিএসসি চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক।
পিএসসি চেয়ারম্যান মঙ্গলবার বলেন, কেবল শিক্ষা মন্ত্রণালয় শূন্যপদের তালিকা পাঠিয়েছে, অন্য কোনো মন্ত্রণালয় বা বিভাগ থেকে চাহিদা পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, ‘শূন্যপদে নিয়োগের জন্য আমরা বলে আছি, মেধাবী ছেলেমেয়েরাও পরীক্ষা দিয়ে বসে আছে। আমাদের জানালেই প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে নিয়োগ দিতে পারবো।‘
‘নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে পিএসসির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মেধাবী বেকারদের কর্মসংস্থান এবং শূন্যপদে জনবল নিয়োগ দিতে পারলে প্রজাতন্ত্রেরও উপকার হয়’, বলেন পিএসসি চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক।
সূত্র: দৈনিক শিক্ষা