বেতন বৈষম্য নিরসন সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির দ্বিতীয় সভা রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সভাপতিত্ব করবেন। বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল হক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক ও অর্থ প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান অংশ নেবেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য ও মর্যাদা নিয়ে সৃষ্ট সংকট সমাধানে কমিটির সদস্যরা আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে।
বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েও পরে তা প্রত্যাহার করা হয়। এ কথা জানিয়েছেন ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এএফএম মাকসুদ কামাল। তিনি শনিবার সমকালকে বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এই সভায় বক্তব্য রাখার জন্য তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
তাদের বলা হয়েছিল, সভা দেড়টায় শুরু হবে। সভা শুরুর এক ঘণ্টা পর বেলা আড়াইটায় ফেডারেশনের নেতারা যেন সভায় যোগ দেন। সে অনুযায়ী তারা সারাদেশের নেতৃবৃন্দকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। পরে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে শনিবার তাদের জানানো হয়, অর্থমন্ত্রী তাদের সময় দিতে পারবেন না। এ কারণে সভায় তাদের উপস্থিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। কমিটির সদস্যরা নিজেরা আগে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন, তারপর প্রয়োজন হলে শিক্ষকদের ডাকবেন।
অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, সভায় ডেকে আবার নিষেধ করা সম্মানজনক নয়। তবু তারা অপেক্ষা করছেন, আজকের আলোচনার কী ফল আসে সেটা দেখার জন্য। তিনি বলেন, তারা চান না এ বিষয়টি আরও দীর্ঘায়িত হোক। গত বছরের মে মাস থেকে তারা আন্দোলন করছেন। এখন এর সুষ্ঠু ও সম্মানজনক সমাধান দরকার।
একাধিক সূত্র জানায়, অন্তত পাঁচ বছর অধ্যাপক পদে সন্তোষজনক চাকরির মেয়াদ পূর্ণ হলে তাদের মধ্য থেকে ৮ জনকে সিনিয়র সচিবের সমান বেতনক্রম দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপকদের পর্যায়ক্রমিক পদোন্নতির স্বার্থে উচ্চতর গ্রেডের পদ সৃষ্টিরও প্রস্তাব করা হয়েছে।
সুপার গ্রেড বা সরকারের সিনিয়র সচিবের পদমর্যাদায় বর্তমানে জনপ্রশাসনে ৫ জন, সেনাবাহিনীতে ৫ জন এবং পুলিশে একজন রয়েছেন। সে হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য ৮ জনকে রাখার কথা ভাবা হচ্ছে।