দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে একটি প্রশিক্ষণ প্রকল্প চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘স্কিল ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট’ (সিপ) শীর্ষক এই প্রকল্পে পাঁচটি খাতে ১২টি ট্রেডে ১০ হাজার ২০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
তিন বছরে এই প্রকল্পে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪৭ কোটি টাকা খরচ হবে। প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য দেশের আটটি প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল রবিবার এক অনুষ্ঠানে এই আটটি প্রতিষ্ঠানকে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনার জন্য স্বীকৃতিপত্র প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গভর্নর ড. আতিউর রহমান প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের হাতে এই স্বীকৃতিপত্র তুলে দেন।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো এমএডাব্লিউটিএস, ইউসেপ বাংলাদেশ, টিএমএসএস, ক্রিয়েটিভ আইটি লিমিটেড, উদ্দীপন, বিআইআইটি ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড, অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রাসরুট উইমেন এন্টারপ্রেনারস বাংলাদেশ ও পিস অ্যান্ড রাইটস ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি। এই প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের শিক্ষিত ও স্বল্পশিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণীদের তথ্যপ্রযুক্তি, তৈরি পোশাক, হালকা প্রকৌশল, অটোমোবাইল ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইলেকট্রিক্যাল মেইনটেন্যান্স খাতে প্রশিক্ষণ দেবে।
বিভিন্ন মেয়াদের (এক থেকে ছয় মাস) এই প্রশিক্ষণ পাওয়ার জন্য আগ্রহী প্রার্থীকে প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে আবেদন করতে হবে। আবেদনকারীর বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা, মানসিক সামর্থ্য বিবেচনা করে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত করা হবে। এই প্রশিক্ষণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে কোনো ধরনের ফিস দিতে হবে না। প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেককে তিন হাজার টাকা করে এককালীন ভাতা দেওয়া হবে। প্রকল্পের শর্ত অনুযায়ী প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সফল প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্য থেকে কমপক্ষে শতকরা ৭০ ভাগের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে তরুণদের নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা। গভর্নর ড. আতিউর বলেন, এই প্রকল্প থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০০ কোটি টাকার যে ‘নতুন উদ্যোক্তা তহবিল’ আছে তা থেকে ঋণের ব্যবস্থা করা হবে। অনুষ্ঠানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জালাল আহমেদ, আবদুর রউফ তালুকদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন এবিবির চেয়ারম্যান ও মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিস এ খানসহ প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।