বাংলাদেশে প্রায় অনেক শিক্ষার্থী-এর প্রথম পছন্দ বি সি এস জব। যদিও এখন ব্যাংক জব, মাল্টিন্যাশনালের জব-এর প্রতি তরুন-তরুনীদের আকর্ষণ বাড়ছে। বি সি এস দিতে গেলে অনেক ধৈর্য-এর প্রয়োজন। ফরম জমা দেয়া থেকে শুরু করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়া পর্যন্ত প্রায় দুই থেকে আড়াই বছর লেগে যায়। তাই যদি কেউ স্নাতক বা স্নাতকউত্তর পাশ করে সিদ্ধান্ত নেন যে বি সি এস দেবেন তবে এই দীর্ঘ সময়ের কথা চিন্তা করে রাখবেন। এবার আসি টিপস-এর কথায়। তবে এই টিপস-যে আপনাকে বি সি এস চুড়ান্ত সাফল্য এনে দেবে তা ভাববেন না। আর আমার টিপস গুলি যারা বর্তমানে পড়াশুনার পাঠ চুকানোর শেষ প্রান্তে এবং পরবর্তীতে বি সি এস দেয়ার কথা চিন্তা করছেন তাদের জন্য।
১. পাশ করা পর থেকেই বি সি এস জন্য হালকা পড়াশুনা শুরু করুন। এ অবস্থায় অন্তত ১ম বি সি এস-এর লিখিত পরিক্ষার আগে কোন হার্ড জব না নেয়াই সমীচিন হবে।
২. নিয়মিত পত্রিকা পরুন, বাংলা ও ইংলিশ দুটোই। নেটে চ্যাট বা সিনেমা না দেখে বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংকলন করতে পারেন।
৩. ম্যাথে দূর্বল থাকলে এ সময় ক্লাস ৮,৯,১০-এর ম্যাথগুলো চর্চা করতে পারেন।
৪. বিভিন্ন ক্লাসিক উপন্যাস ও তার লেখক সম্পর্কে পড়াশুনা করতে থাকুন।
৫. প্রিলিতে গ্রুপে বসে ডিসকাশন করে বা দেখাদেখী করে উত্তর দেবার চিন্তা বাদ দেন। কোয়েস্চেন ফাঁসের গুজব শুনেই নিলক্ষেত বা ঢাকা ভার্সিটি দৌড়াবেন না।
৬. পূর্ববতী কোন পরিক্ষার্থীর নোট সংগ্রহের চেষ্টা করুন এবং সেগুলোকে আপডেট তথ্যের ভিত্তিতে মোডিফিকেশন করুন।
৭. কোচিং করতে পারেন তবে বাসায় সেল্ফ স্টাডিটা খুবই প্রয়োজনীয়। কোচিং-এর ম্যাটেরিয়াল ভেরিফাই করে দেখুন তাতে সম্পূর্ণ সঠিক তথ্যটি দেয়া আছে কিনা। কোচিং-এর পরীক্ষায় নিজেই নিজেকে যাচাই করে দেখতে পারেন। কোচিং-এর সময় নারী সহপাঠিদের বিষয়ে রোমান্টিক ভাবনা চিন্তা থেকে যতসম্ভব দূরে থাকাই মঙ্গল।
৮.নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি পুরোটা মনোযোগের সাথে একবার পড়ে নিবেন।ফরম কেনা থেকে জমা পর্যন্ত যা যা কাগজ পত্র লাগবে তার সমস্ত কিছু ফটোকপি করে ফাইলে গুছিয়ে রাখুন। বিষেস করে ব্যাংক থেকে ফর্ম কেনার রসিদ এবং ও এম আর ফর্মে ক্যাডার চয়েস -এর ফটোকপি রেখে দিবেন।
৯. ক্যাডার চয়েসে সতর্ক থাকুন। আপনি যে ক্যাডার-এ ঢুকতে চান সেটাই সবার প্রথমে দিন।
১০. সবশেষ হলো বি সি এস কেন, কোন পরীক্ষায় কোন সর্টকাট নেই। অধ্যবসায় আর পরিশ্রম-ই সকল পরীক্ষায় ভালো করার মূলনীতি
(collected, Source: unknown)