অংশগ্রহণের যোগ্যতা
প্রথম পর্যায়ে প্রশিক্ষণের জন্য দায়িত্ব পেয়েছে নাদিয়া ফার্নিচার। প্রতিষ্ঠানটির মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান মারুফ হাসান ভুঁইয়াজানান, আইএলওর শর্ত অনুযায়ী ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী যেকোনো তরুণ-তরুণী এই কোর্সে অংশ নিতে পারবে। অক্ষরজ্ঞান থাকলেই চলবে, তবে শিক্ষিত হলে ভালো হয়। শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাজের অভিজ্ঞতা, শারীরিক যোগ্যতা ও কাজ করার মানসিকতা বিবেচনায় নিয়ে প্রার্থী বাছাই করা হবে।
নাম নিবন্ধনের সময় প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সর্বশেষ সনদ, জন্মনিবন্ধন সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও জীবনবৃত্তান্ত জমা দিতে হবে।
তথ্য পাবেন যেখানে
প্রথম ধাপে ১০০ জনকে নিয়ে একটি কোর্স চালু করেছে নাদিয়া ফার্নিচার। শেষ হলে শুরু হবে দ্বিতীয় ধাপের প্রশিক্ষণ। আগ্রহীরা যোগাযোগ করতে পারেন নাদিয়া ফার্নিচারের মানিকগঞ্জের সিংগাইরের কারখানায়। অন্যান্য ফার্নিচার কারখানায়ও চালু করা হবে এই প্রশিক্ষণ কোর্স। প্রার্থী খুঁজতে কারখানাগুলো স্থানীয়ভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। বেকার যুবকরা কারখানায় কাজের সন্ধানে গেলে তাঁদের নাম নিবন্ধন করে রাখে কারখানা কর্তৃপক্ষ। প্রার্থী বাছাই করা হয় সেখান থেকেও।
কী শেখাবে, কারা শেখাবে
প্রাথমিকভাবে কারপেনট্রি ও লেকার পলিশিংÑএ দুই বিষয়ে শুরু হয়েছে ছয় মাসমেয়াদি একটি কোর্স। পরবর্তী সময় ফার্নিচার শিল্পের অন্যান্য বিষয়ও চালু করা হবে। বিষয়ভেদে কোর্সের মেয়াদ কমবেশি হতে পারে। কারখানার সুপারভাইজার লেভেলের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ প্রশিক্ষক হিসেবে গড়ে তোলে আইএলও, যাতে তাঁরা প্রশিক্ষণার্থীদের ঠিকঠাক প্রশিক্ষণ দিতে পারেন।
কাজের সুযোগ দেশে–বিদেশে
প্রশিক্ষণ শেষে দক্ষ কর্মীদের কাজের সুযোগ রয়েছে ফার্নিচার শিল্পের বিভিন্ন কারখানায়। প্রশিক্ষণদাতা প্রতিষ্ঠানেও কাজ শেখার পর চাকরির সুযোগ পেতে পারেন। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সহকারী পরিচালক
এস কে আল ফেরুবি বলেন, ‘প্রশিক্ষণ শেষে দেশের বাইরেও কাজের সুযোগ রয়েছে। যদি কোনো কর্মী দেশের বাইরে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে নাম নিবন্ধন করতে হবে বিএমইটির ডাটাবেজে। পরে কোনো দেশ ফার্নিচার খাতে দক্ষ লোকবল চাইলে তাঁরা খুব সহজে কাজ নিয়ে দেশের বাইরে যেতে পারবেন।’
মিলবে মাসিক ভাতা
মারুফ হাসান ভুঁইয়া জানান, প্রশিক্ষণের সময় যোগ্যতা ও দক্ষতাভেদে কর্মীদের মাসিক ভাতা দেওয়া হবে। অভিজ্ঞ বা প্রশিক্ষণকালে ভালো দক্ষতা দেখাতে পারলে মাসে আট থেকে ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাতা দেওয়া হবে। আর অন্যরা পাবেন ছয় থেকে সাত হাজার টাকা। কোর্স শেষে দেওয়া হবে কারিগরি অধিদপ্তরের সনদ। নির্দিষ্ট সময়ে দক্ষতা অর্জন করতে না পারলে তাঁদের আরো সময় দিয়ে কাজ শেখার সুযোগ দেওয়া হবে।
সূত্র: কালে কণ্ঠ