প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৫ হাজার ১৯ জন শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ২০১১ সালে উত্তীর্ণ পুল শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তাদের নিয়োগ না দিয়ে নতুন করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন।

৭২টি রিট আবেদনের নিষ্পত্তি করে বুধবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, শেখ মোহাম্মদ মুরশেদ, সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও মো. খায়রুল আলম।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করীম।

আইনজীবী মুরশেদ জানান, ২০১১ সালের আগস্ট মাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এ বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে ১১ লাখ প্রার্থী আবেদন করেন। লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা শেষে ২০১২ সালের ১২ আগস্ট ২৭ হাজার ৭শ’ ২০ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। এর মধ্যে ১২ হাজার ৭০১ জনকে জনকে নিয়োগ দেয় সরকার।

বাকিদের পুল শিক্ষক হিসেবে ৭ দিন থেকে ৬ মাসের জন্য কোটার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয় (পুল শিক্ষকরা প্রতিমাসে ৬ হাজার টাকা সম্মানী পান, তাদের কোনো ছুটি নেই এবং তাদের নিয়োগ সাময়িক)। এর মধ্যে ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর নতুন করে সহকারী শিক্ষক পদে আবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় সরকার।

এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন পুল শিক্ষকরা। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে একই বছরের ১৯ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

বুধবার এ রুলের নিষ্পত্তি করে রায় দেন হাইকোর্ট।

আইনজীবী মুরশেদ আরো জানান, প্রায় ৭২টি রিট ছিলো। এসব রিটের আবেদনকারী দুই থেকে আড়াই হাজার হতে পারেন। হাইকোর্ট এসব আবেদনকারী পুল শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আর তাদের নিয়োগের আগে নতুন করে কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বা নিয়োগ না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।