প্রথম দিনে ভিকারুননিসার মূল শাখায় ৪৭০ শিশু মনোনীত

ভিকারুননিসা নূন স্কুলের মূল শাখায় প্রভাতী বাংলা ও দিবা ইংলিশ ভার্সনে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য প্রথম দিনের লটারিতে ৪৭০ জন শিশু মনোনীত হয়েছে।

শনিবার সকালে বাংলা ভার্সনে এবং দুপুরে ইংরেজি ভার্সনের লটারি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলা ভার্সনে ৩৩০ জন এবং ইংরেজি ভার্সনে ১৪০ জন শিশু ভর্তির জন্য মনোনীত হয়।

আজ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ অডিটরিয়ামে প্রভাতী-দিবা শাখায় প্রথম দিনের মতো লটারি অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রতিষ্ঠানের চারটি শাখায় চার দিনব্যাপী চলবে প্রথম শ্রেণির ভর্তি লটারি কার্যক্রম।

জানা গেছে, স্কুলের মূল (বেইলি রোড) শাখার প্রভাতী বাংলা ভার্সনে প্রথম শ্রেণিতে ৩৩০ জনের মধ্যে সাধারণ কোটায় ১৩৯ জন, এরিয়া কোটায় ১৩২ জন, বোনের কোটায় ৩৩ জন ও মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ১৭ জনকে লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়েছে।

এছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোটায় সাতজন, প্রতিবন্ধী কোটায় একজন এবং প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীর সন্তান কোটায় একজনকে সরাসরি ভর্তির জন্য নির্বাচন করা হয়েছে।

মূল প্রভাতী শাখার বাংলা ভার্সনে ভর্তির জন্য তিন হাজার ২২০টি আবেদন জমা হলেও তার মধ্যে দুই হাজার ৬৫২টি আবেদন গণ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে সাধারণ কোটায় এক হাজার ৭২০টি, এরিয়া কোটায় ৬৩২টি, বোনের কোটায় ১৩৯টি, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ১৫৩টি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোটায় ৭টি, প্রতিবন্ধী কোটায় একটি ও প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারীর সন্তান কোটায় একটি আবেদনের মধ্যে লটারি আয়োজন করা হয়। এছাড়াও অসম্পূর্ণ আবেদন ১৭২টি, একাধিক আবেদন ৮৬টি ও অনুপস্থিতির জন্য ৩০৯টি আবেদন বাতিল করা হয়েছে।

অন্যদিকে, মূল দিবায় ১৪০ জনের মধ্যে সাধারণ কোটায় ৬২ জন, এরিয়া কোটায় ৫৬ জন, বোনের কোটায় ১৪ জন ও মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সাতজনকে লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়। এছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোটায় সাতজন, প্রতিবন্ধী কোটায় একজনকে সরাসরি ভর্তির জন্য নির্বাচন করা হয়েছে।

ইংলিশ ভার্সনে ভর্তির জন্য ৫৭৫টি আবেদন জমা হলেও তার মধ্যে ৪৫৮টি আবেদন গণ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে সাধারণ কোটায় ২১২টি, এরিয়া কোটায় ১৬৫টি, বোনের কোটায় ৫১টি, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ২৯টি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোটায় ১টি আবেদনের মধ্যে লটারি আয়োজন করা হয়। এছাড়াও অসম্পূর্ণ আবেদন ১৪টি, একাধিক আবেদন ৬২টি ও অনুপস্থিতির জন্য ৫৫টি আবেদন বাতিল করা হয়েছে।

পাশাপাশি প্রভাতী-দিবায় উভয় শাখায় আলাদা করে মোট আসনের সাত শতাংশ আসন লটারির মধ্যেমে অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছে। নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্যে কেউ ভর্তি না হলে অপেক্ষমাণ শিশুরা ভর্তির সুযোগ পাবে।

লটারি কার্যক্রমে দায়িত্বরত নির্বাহী জেলা ম্যাজিস্টেট আব্দুল কাদির মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, সকাল থেকে সুষ্ঠুভাবে ভিকারুননিসা নূন স্কুলে প্রথম শ্রেণির লটারি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে মূল শাখায় বাংলা ভার্সনের প্রভাতী শাখার লটারি আনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুরে দিবা শাখার লটারি অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে ভর্তি লটারির নির্বাচিত নম্বর দ্রুত সরিয়ে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক অভিভাবক। তারা বলেন, বক্সের মধ্যে থেকে ছক্কার মাধ্যমে নম্বর তুলে দ্রুত তা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। এ কারণে নম্বর মেলাতে অসুবিধা হচ্ছে। নিজেদের নম্বর মেলাতে অনেকে ব্যর্থ হয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) নাজনীর ফেরদৌস বলেন, অভিযোগ সঠিক নয়, নির্ধারিত সময় পর্যন্ত একটি লটারির নম্বর তোলা হয়। যদি তা না হয় তবে লটারি শেষ করতে রাত পার হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, আমাদের কাছে সকল কিছুর রেকর্ড রয়েছে, কেউ বিজয়ী লটারির নম্বর দেখতে চাইলে তা আবারও দেখানো হয়। তাই কোনো ধরনের ভোগান্তি বা ফাঁকির সুযোগ নেই।