দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের কর্মবিরতি!

দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন। প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার সকাল থেকে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

university-mid20160111030337

সোমবার সকাল থেকে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন শুরু করেছেন শিক্ষকরা। এ দিন বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু মর্যাদা প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন।

সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অষ্টম পে-স্কেলে শিক্ষকদের অবনমনের প্রতিকার ও মর্যাদা রক্ষার দাবিতে এ কর্মবিরতির পালন করা হচ্ছে। সান্ধ্যকালীন কোর্সসমূহে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

কর্মবিরতি চলাকালীন পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার কথা রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস এবং সকল পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কর্মবিরতি চলাকালীন সেমিস্টার/কোর্স ফাইনাল পরীক্ষাসমূহ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিলেও অন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম কর্মবিরতির দিনে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নেয়নি। সেমিস্টার ফাইনাল বাদে ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ে মিডটার্ম পরীক্ষাসহ অন্যান্য সকল শ্রেণি পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দ্বিতীয় দিনের মতো সকাল থেকেই আমাদের কর্মবিরতি পালন চলছে। আমাদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মবিরতি চলবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ব থেকে যেসব পরীক্ষা নির্ধারিত ছিল, সেগুলো নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

গত ২ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এরপর ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের মুজাফফর আহম্মেদ চৌধুরী মিলানায়তনে সংবাদ সম্মেলনে করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ সময় সাধারণ সম্পাদক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালসহ শিক্ষক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এই কর্মবিরতিতে যাওয়ার আগে আরো দুই দিন কর্মসূচি পালন করা হয়। ৩ জানুয়ারি একই দাবিতে শিক্ষকরা কালো ব্যাজ ধারণ করে শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করেন। ৭ জানুয়ারি স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘট পালন করা হয়। এরপর ১১ জানুয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছেন শিক্ষকরা।

৭ জানুয়ারি অবস্থান কর্মসূচি পালনের সময় শিক্ষক নেতারা বলেছিলেন, ক্লাস বন্ধ থাকলে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে। এ ছাড়া ১১ জানুয়ারি কর্মবিরতি পালনের প্রথম দিনে শিক্ষক নেতারা বলেছেন, সেশনজটে পড়লেও তার জন্য দায়ী হবেন অর্থমন্ত্রী।

সূত্র: প্রথমবার্তা ডট কম