নতুন শিক্ষাবর্ষের এখনও প্রায় দুই মাস বাকি। অথচ যশোরে মাধ্যমিক, দাখিল ও এবতেদায়ী পর্যায়ের ৭০ ভাগ নতুন বই চলে এসেছে। আর প্রাথমিকের জন্য যশোর সদর উপজেলার চাহিদার প্রায় ৫০ ভাগ বই পৌঁছেছে। অন্য উপজেলার বই এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে চলে আসবে বলে উপজেলা শিক্ষা অফিসগুলো জানতে পেরেছে।
যশোর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন জানান, আট উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ে ২৯ লাখ ৬৪ হাজার ৭৫০, দাখিল পর্যায়ে সাত লাখ ৮৫ হাজার ১২৫, এবতেদায়ী পর্যায়ে চার লাখ ৭২ হাজার ৬০০ এবং প্রাথমিক পর্যায়ে ১৬ লাখ ৩৮ হাজার ৮৪৬ বইয়ের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ে শতকরা ৬৩ ভাগ, দাখিল পর্যায়ের ৬৫ ভাগ এবং এবতেদায়ী পর্যায়ের ৮০ ভাগ বই ইতিমধ্যে যশোরে পৌঁছেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শুধুমাত্র সদর উপজেলার ৫৩ ভাগ বই পৌঁছেছে। অন্য উপজেলার বইও খুব তাড়াতাড়িই পৌঁছাবে। তবে বই রাখার জায়গা না থাকায় বিপাকে পড়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিসগুলো। কোনো উপজেলায় স্কুলের পরিত্যক্ত ভবনে, কোনো উপজেলার আবাসিক কোয়ার্টারে আবার কোনো উপজেলায় বেসরকারি গোডাউন ভাড়া করে বই রাখতে হচ্ছে। আর সদর উপজেলায় জায়গা সংকুলান করতে না পেরে আগেই বই দিয়ে দেয়া হচ্ছে।
সূত্র মতে, যশোর সদর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি বইয়ের চাহিদা রয়েছে। এ উপজেলায় মাধ্যমিকে আট লাখ ৪১ হাজার ৯৫০ খানা, দাখিলে এক লাখ ৩৮ হাজার ৬০০ এবং এবতেদায়ীর ৮৬ হাজার ৮০০টি বইয়ের চাহিদা রয়েছে। এ উপজেলার ৮২ ভাগ বই ইতিমধ্যে এসে গেছে। কিন্তু বই রাখার কোনো গোডাউন নেই। যশোর জেলা স্কুলের একটি পরিত্যক্ত ভবনে বই রাখা হয়েছে। এখানে আর জায়গা না থাকায় বই ইতিমধ্যে স্কুলগুলোর মধ্যে বণ্টন করা শুরু হয়েছে।
ঝিকরগাছা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজমুল হক জানান, মোট বইয়ের ৬৫ ভাগ চলে এসেছে। এখানে কোনো গোডাউন না থাকায় বই রাখতে হচ্ছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোয়ার্টারে। শিক্ষাবর্ষের দুই মাস আগেই নতুন বই এসে যাওয়ায় সবাই খুশি। তবে সরকারি কোনো গোডাউন না থাকায় তারা বিপাকে পড়েছেন।
শার্শা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোপাল চন্দ্র মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, সরকারি কোনো ভবন বরাদ্দ না পেয়ে এবার বাধ্য হয়ে ব্যক্তিমালিকানার গোডাউন ভাড়া নিতে হয়েছে। সরকারি বই বাইরে রাখা নিরাপদ নয় তারপরও এবার বাধ্য হয়ে তা করতে হয়েছে।
সূত্র: বাংলা মেইল২৪ ডট কম