বাংলা-৩৫
জীবনে অনেক গল্প বা উপন্যাস পড়েছেন । বা অন্য কেউ পড়েছে তা শুনেছেন । ব্যাস অনেকদুর এগিয়ে গিয়েছেন তাহলে । এবার খোজ নেন প্রিয় লেখকের কোন বইটি আপনার পড়া হয় নাই । নিজ শহরের বড় লাইব্রেরীতে কিছুদিন যাওয়া আসা করুন । সেখানে দেখবেন অনেক বই সাজানো আছে । অনুবাদ বা বিখ্যাত লেখকের কিছু বই যা আপনার অজানা । কত বই তা একদিনে জানতে পারবেন না তাই সপ্তাহে বিশ মিনিট ‘লাইব্রেরী ঘুরপাক’ ওয়ার্ক করে নিন । বাংলা সিনেমার কথা আর নাই বললাম । শুধু নিজেকে চেক করে নিন দেখা মুক্তিযুদ্ধের ছবিটি কোন উপন্যাস অবলম্বনে । আর গান ? বাউল,লালন বা যেই জনপ্রিয় গানটি হরহামেশাই শুনছেন তার সুরকার বা গীতিকারের নামটি জেনে নিলেও ভালো লাগবে এবং কাজেও দিবে । এবার একটি গাইড বই কিনে ৮টি সাহিত্যের ক্লাস রেডি করে ফেলুন । যেখানে থাকবে পত্রিকা,লেখক পরিচিতি,সাহিত্যের যুগবিভাগ,কবিতা,নাটক,ছোটগল্প,উপন্যাস,প্রবন্ধ প্রভৃতির তথ্য । তবে ব্যাকরন অনেকের কাছে বড্ড ভয়ের । তাই নবম বা একাদশ শ্রেনী এবং সৌমিত্র শেখরের বই গুলো দেখবেন । সময় থাকলে হুমায়ুন আজাদের লাল নীল দীপাবলি বইটাও দেখতে পারেন। কিছুদিন পর সেই ভয়টা থাকবেনা ১০০% । বিগত সালের বিসিএস বা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অন্য পরীক্ষার প্রশ্নগুলি সমাধান করুন । তবে জাতীয় পত্রিকায় সাহিত্য পাতার প্রতিবেদন বা লেখক কে নিয়ে যা লিখা হয় তা পড়ুন । সেখান থেকেই জেনে নিতে পারবেন বিশ্বে পুরস্কার পাওয়া সাহিত্যিকদের বইয়ের নাম । প্রয়োজনে সকল পত্রিকার সাহিত্য পাতা পড়বেন । আর ফেসবুকে বাংলায় পন্ডিত এমন মানুষের না হয় ফলোয়ারই হলেন !!
ইংরেজি-৩৫
প্রথমে আসি ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে । ছোটবেলায় কিশোর ক্ল্যাসিক পড়েন নাই এমন মানুষ কমই আছে । এছাড়া কত অনুবাদ পড়েছেন । পত্রিকায় নোবেল পাওয়া মানুষদের সাহিত্যের খোজ নিচ্ছেন । আবার অনেকের নোবেল পাওয়ার কথা ছিলো তাদের খোজ নেন । বিগত দুই সাল কোন বইটি সবচেয়ে বেশী আলোচিত তা জেনে নিন । কে কোথায় কোন বইয়ের জন্য পুরস্কার পেল তা জানাটাও কম জরুরী নয় । কত বড় মাপের মানুষ দুনিয়া থেকে বিদায় নিচ্ছে তাদের আত্মজীবনী বইয়ের নামটুকু জানাটাও গুরুতপূর্ণ । এবার আসি ইংরেজি যুগ বিভাগের ওপর । এলিজাবেথ এর সময়কাল থেকে আপনাকে পরীক্ষার দিন পর্যন্ত সময়কালের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাহিত্যিকদের নাম ও তাদের অবদান জানতে হবে । যা বাজারের গাইড বইগুলিতে সুন্দর করে লিখা আছে । আরো জানতে সেই আগের মত লাইব্রেরী ওয়ার্ক । বিখ্যাত ব্যাক্তিদের বইগুলোর নাম সহজেই মুখস্থ হয়ে যাবে । Quotations ফেসবুকে অনেক দেখেন । বলা তো যায় না সেখান থেকেও কমন পড়ে যেতে পারে । তবে বইতে অনেক দেয়া আছে । একবার দেখে নিলে কিছুটা মনে থাকতে পারে । গ্রামার সম্পর্কে যা বলবো তা হলো সিলেবাস অনুযায়ী গাইড বই দেখে পড়ে নিবেন । ভাব ধরতে গ্রামার শেখার জন্য বড় বড় বইয়ের নাম নাই বললাম । তবে পরামর্শ নিজ মেধা ইঞ্জিনের ক্ষমতা অনুযায়ী নীলক্ষেত বা বড় লাইব্রেরী থেকে গ্রামার বই কিনে নিবেন । যা জীবনে শিখতে পারেন নাই তা এখন শিখতে গিয়ে বেশী সময় না ব্যয় করাই শ্রেয় । কিন্তু কিছু প্রশ্ন আসে মুখস্থ করলেও হয় তা কিন্তু ছাড় দেওয়া যাবে না (সেটা বিগত সালের প্রশ্ন দেখলেই টের পাবেন) !
বাংলাদেশ বিষয়াবলি-৩০
আপনি সবই জানেন । শুধু কনফিউশন দূর করুন । আর অহেতুক সব কিছু জানার আগ্রহ কমিয়ে ফেলুন । জাতীয় বিষয়াবলী, কৃষি, অর্থনীতি, বানিজ্য, সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ বা সংশোধনী, রাজনৈতিক ইতিহাস বা সরকার ব্যাবস্থা সম্পর্কে জেনে নিলেই হবে । খেলাধুলা আর পুরস্কার সেটা জানাটাও জরুরী । সিলেবাস ধরে ধরে গাইড বইয়ের সহায়তা নিলেই হবে । প্রতিদিন পত্রিকায় তথ্যগুলো দেখুন । কোথায় কি হচ্ছে বা কিসের নাম পরিবর্তন হল কিংবা অর্থনীতির নতুন কি পরিকল্পনা জেনে নোট করে নিন । নতুন স্থাপত্য কোথায় হলো বা স্থপতির নাম ভালোভাবে জানতে হবে । আর কিছু বিষয় নিয়ে তথ্য বিভ্রাট দেখা দিলে উইকিপিডিয়ার সাহায্য নিতে পারেন । এটি সহজ বিষয় মেনে নিয়ে অবহেলা করবেন না কারন এখান থেকেই পুরো নম্বর পাওয়া গেলে প্রিলিতে টিকে যেতে অনেকটাই এগিয়ে যাবেন। কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স নিয়মিত পড়তে হবে । আর অবশ্যই অষ্টম/নবম শ্রেণির ইতিহাস বইটি একটু দেখে নিবেন ।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি-২০
বৈশ্বিক ইতিহাস বা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকতে হবে । এগুলি বাজারে প্রচলিত বই থেকে জেনে নিতে পারবেন । পত্রিকা থেকে চলমান ঘটনা বা সাম্প্রতিক বিষয়গুলি নোট করে ফেলবেন । বর্তমান বা বছর দুয়েক এর মধ্যে আলোচিত ঘটনা সম্পর্কে ধারণা নিবেন । পরিবেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক ভাবনা বা উদ্যোগের খোজ খবর নিবেন । কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স নিয়মিত পড়তে হবে । বিভিন্ন সংঘটনের সেমিনার বা সম্মেলনের ইস্যু কি বা কেন হচ্ছে তা নোট করবেন । এসব সংঘটনের সদর দপ্তর/সদস্য দেশ গুলি সম্পর্কে কিছুটা ধারণা থাকতে হবে । তবে দেশগুলির রাজধানী বা মুদ্রা বিষয়ে যে ধারনাটুকু আপনার মাঝে এমনিতেই আছে তা নিয়ে ভাববেন না । মূলত মধ্য এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা থেকে রাজধানীর নাম বা মুদ্রার নাম আসে । সেক্ষেত্রে ইউরোপের উল্লেখযোগ্য দেশ গুলিও দেখে যেতে পারেন । সাতটি মহাদেশ এবং জাতিসংঘ সহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে ৮/১০ টি অধ্যায় করে নোট করে ফেলুন ।
ভুগোল,পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা-১০
আপনি নিজেই খোজ করুন কোন পাঠ্য বইতে এসব তথ্য পাওয়া যেতে পারে । এছাড়া বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন অঞ্চলের ভৌগলিক অবস্থান জেনে নিবেন । আমাদের দেশের সম্পদ, চ্যালেঞ্জ, আবহাওয়া/জলবায়ু,প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে গাইড বই থেকে ধারণা নিতে পারবেন । আমাদের দেশে বড় বড় দুর্যোগ যা হয়েছে তা আপনি এমনিতেই পারেন । মূলত বাংলাদেশ বিষয়াবলি-র উপর ধারণা থাকলেই এখানে পুরো নম্বর পেয়ে যাবেন । নবম বা দশম শ্রেণির ভূগোল বইটাও দেখে নিতে পারেন ।
সাধারন বিজ্ঞান-১৫
মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পাঠ্য বই থেকে কিছুটা ধারণা পাবেন । বাজারে প্রচলিত অনেক বই আছে তা থেকে অনেক কিছুই জানতে পারবেন । যেহেতু মানবিক বানিজ্য সহ সকল শ্রেনির শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে তাই এমন কিছু প্রশ্ন আসবেনা যা আপনার জন্য কঠিন হয়ে পড়বে । দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত বিজ্ঞানের অভিজ্ঞতার সম্পর্কে আপনার জ্ঞান যাচাই করাই এখানে মূল উদ্দ্যেশ্য । দেশ বিদেশের বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার বা বিখ্যাত ব্যাক্তিদের অবদান সম্পর্কে জানতে হবে । আর সিলেবাস দেখে আপনার কৌশল নির্ধারিত করতে হবে । উল্লেখ্য এখানে ভৌত-৫, জীব-৫ ও আধুনিক বিজ্ঞান-৫ । সাস্থ্য,রোগ ও প্রতিকার এগুলিও লক্ষ্য রাখবেন ।
কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি-১৫ (কম্পিউতার-১০ ও তথ্য-৫)
কম্পিউটার দৈনন্দিন জীবনে কি প্রয়োজনীয়তা তাই আসবে । কম্পিউটারের ইতিহাস ও প্রকারভেদ । বিভিন্ন প্রোগ্রামের নাম । কৃষি,যোগাযোগ,শিক্ষা, স্বাস্থ্য বা খেলাধুলায় কি কাজে লাগে তা জানা আবশ্যক । ওরাকল বা প্রফেসরস গাইড দেখতে পারেন । আর কিছু ধারনাতো আপনার এমনিতেই আছে । কম্পিউটার এর কী প্যাড সম্পর্কে ধারণা রাখবেন কারন কোন ইংরেজি অক্ষরে চাপ দিলে বাংলা কোন বর্ণটি আসে তা দেখতে পারে । উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্য বইটি অবশ্যই পড়বেন । তথ্য প্রযুক্তিতে যা আসবে তা আপনি সহজে পেরে যেতে পারেন । কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, 3G,4G,wimax,LAN.MAN.WiFi,Smart Phone,Email,Fax,Cyber crime,Facebook,Instagram,Twitter এগুলি কি আপনার পড়তে হবে ? আপনার এমনিতেই এই সম্পর্কে ধারণা আছে । এরপরেও গুছিয়ে আপনার মত করে বিভিন্ন গাইড বইয়ের সহায়তায় নোট করে ফেলুন । পত্রিকায় বিজ্ঞানের কলাম গুলো ভালো করে পড়ুন । নতুন আবিষ্কার কি হচ্ছে তা খেয়াল রাখুন ।
গাণিতিক যুক্তি-১৫
আপনি না পারিলেও কিছু পারবেন । এই সত্যটি মনে ধারন করুন । অষ্টম,নবম শ্রেনির গনিত বইয়ের উদাহরণ সহ প্রতিটি অংক সমাধান করুন । বার বার করুন । বিভিন্ন সুত্র মুখস্থ করে ফেলুন । বিসিএসের সিলেবাসটি হাতে নিয়ে ধীরে ধীরে এগোতে থাকেন । বিগত সালের প্রশ্নসমুহ সমাধান করুন । আর বিগত কয়েকবছরের ব্যাংকের নিয়োগ প্রশ্নে আসা ছোট সাইজের অংক গুলো একটু দেখে যাবেন । মানে সমাধান করে ফেলবেন । আর বাজারে শর্ট টেকনিক সম্পর্কে কিছু যাদুর বই পাওয়া যায় তা দেখে নিতে পারেন ।
মানসিক দক্ষতা -১৫
এখানে আজব কিছু প্রশ্ন আসবে । বিগত সালের প্রশ্নগুলি দেখলেই টের পাবেন । বাজারে কিছু বই আছে এই বিষয়ে ধারণা নেয়ার জন্যে । আম গাছ,কাঠাল গাছ (হা হা ),বানান,সংখ্যাগত ধারণা, বিভিন্ন সমাধান চাইবে এমন প্রশ্ন পাবেন । এখানে কেউ পড়ে পাবে ১২ নম্বর আর কেউ না পড়ে পাবে ৮/৯ !! এটাই সত্য ।
নৈতিকতা,মুল্যবোধ ও সু-শাসন -১০
উপরের তিনটি বিষয়ের উপর স্বচ্ছ ধারণা না থাকলে আপনি গোলমাল পাকিয়ে ফেলবেন । কোন কাজটি নৈতিকতার ভেতর পড়ে আর কোনটি মুল্যবোধের ভেতরে পরে তা পরিষ্কার জ্ঞান থাকতে হবে । যারা ঢাকার পলাশী কিংবা মৌচাক বা ময়মনসিংহের বিভিন্ন ক্যারিয়ার বিষয়ক প্রতিষ্টানে আমার সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন সেসব শিক্ষার্থী খুব সহজেই গত প্রিলিতে উত্তর দিতে পেরেছিলেন । তাই ভালোভাবে পড়লে আপনিও পারবেন । মূলত সুশাসন সম্পর্কে প্রচলিত ধারণা, নৈতিকতা ও মুল্যবোধের উপকারিতা বা সমাজে এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে প্রশ্ন আসবে ।
কিছু টিপস কখনো কখনো কাজে লাগেনা !! যদি কাজে লাগে তা হলে আপনার লাক !!!
1. বিগত বিসিএস পরীক্ষায় যে মানুষটি মেধা তালিকায় প্রথম হয়েছে সে যে আবার প্রথম হতে পারবে তার গ্যারান্টি আছে ? যদি না থাকে সুতরাং এবার কেনো আপনি নয় !!
2. যে শিক্ষার্থী অষ্টম শ্রেণি থেকেই বাংলা,ইংরেজি বা ভিন্ন ভাষার সাহিত্য পড়ে আসছে সে স্বাভাবিক ভাবেই আপনার চেয়ে বেশী জানে (যদি আপনি না পড়ে থাকেন) । তাই তার কম সময় লাগবে আপনার বেশী সময় লাগবে । মেনে নিয়ে পড়া শুরু করুন ।
3. আমার ৭ দিন পড়লেই হয় ! এ জাতীয় কথাবার্তা থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থান করুন । ক্ষুধার্ত মানুষের খাওয়ার ধরন আর পেটভরা মানুষের আবার খাওয়ার ধরনের মাঝে বিস্তর তফাৎ ।
4. আপনার মেধা আর আমার মেধা এক নয় ! সুতরাং আপনি কিভাবে আপনার পড়া সাজাবেন তা একান্তই আপনার বিষয় ।
5. আমি ছোটবেলায় অংক বা ইংরেজি ভালো পারতাম না । এই কথাটি ভুলে যান । বয়স বাড়ার সাথে অনেকের বিবেচনা শক্তি বৃদ্ধি পায় সুতরাং এখন পারবেন ।
6. যদি আপনাকে মোটিভেশন করিয়ে পড়ার ইচ্ছা জাগাতে হয় তাহলে আপনি নাকে তেল দিয়ে ঘুমান । যে নিজের স্বার্থ বুঝেনা তাকে দিয়ে অন্তত বিসিএস হবে না । ১০০% নিশ্চিত ।
7. আপনার পছন্দ আর তার পছন্দ এক নয় । যদি এক হত তাহলে সবাই একই জামা কাপড় পরিধান করতো । আপনার যে চাকুরি পছন্দ নয় অন্যের কাছে তা মধু । তাই সরকারি চাকুরি যেই পেয়েছে তার কাছ থেকে ৩ মিনিটের একটি ধারণা নিতে পারেন !! কাজেও দিতে পারে ।
8. যা না পারি তা বেশী পড়ি আর যা বেশী পারি তা কম পড়ি =পরীক্ষার দিন তাই বেশী জানা বিষয়গুলিই বেশী কনফিউজড !! সমতা রাখুন ।
9. সফল মানুষের সেমিনার শুনুন । নিজের ক্ষমতাও ভেবে দেখুন । এবার ঠিক করুন আপনার কী করণীয় ।
10. কিছু অর্জনের পূর্বে সেও বলতে পারেনা সে এটা হতে পারবে কি না ! তাই পাশের মানুষটির পরামর্শও মাঝে মাঝে শুনুন ।
11. একটি উম্মুক্ত প্রতিযোগিতা । একটি ভালোলাগার পরীক্ষা । আহা কি মধুর পরীক্ষা ! আমার কাছে তাই মনে হয় । যেই পরীক্ষায় নাই কোন ভালো ফলাফলের টেনশন, নাই কোন ভালো মার্কা ছাত্র হওয়ার টেনশন । শুধু ফরম পূরণ টাই যেন এক বিরাট কষ্ট ! সেখানে আপনি কেমন ছাত্র ছিলেন তা ভুলে যান ।
12. আমি একজন ফেল করা ছাত্র (বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় …হা হা ) তাই অতি মেধাবীদের এই পরামর্শ থেকে দূরে থাকতে বলছি ।তবে অনেকের মত বার বার ফেল করার পরেও ঠিক ফেল করার মতই বার বার চাকুরি পেয়েছি ।
13. অজুহাত বাদ দিন, ব্যাংকে চাকুরি করেও আমি আরো দুটো চাকুরী পেয়েছি । আপনি যে চাকুরিই করেন না কেনো একটা সময় আপনি বের করে নিবেন । বেশী দূরত্বে যার অফিস সে হয়তো কয়েকটি বিষয় পথেই শেষ করতে পারবে ।
14. কোন একটি নির্দিষ্ট ক্যাডারেই চাকুরি পেলেই যে সে সবচেয়ে মেধাবী সেটা ভাবা যাবে না তবে ভাবুন কোন শিক্ষার্থীর প্রথম শ্রেণির যে চাকুরিটা করে সেটাই তার প্রথম পছন্দ কি না ? সেভাবেই পরামর্শ নিন ।
15. ক খ গ ঘ সিরিয়াল নিয়ে ব্যাপক চিন্তা না করে একটু প্রশ্নপত্রটি ভালোভাবে দেখে নিন । তারপর উত্তর দিন ।
16. একটা বিষয় এবারের রেজাল্টের পর লক্ষণীয় তা হলো আপনি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশুনা করেছেন তা নিয়ে আলোচনা । এসব থেকে দুই কিলোমিটার দূরে থাকুন । মনে রাখবেন সর্বনিম্ন ফলাফল নিয়ে একমাত্র বিসিএস পরীক্ষাই দেয়া যায় !! তাহলে এত ভাব মেরে লাভ কি ?
17. যা ভালোভাবে পারেন, তা ভালোভাবে পারেন না সেই বিষয়ের মত করে যত্ন নিন । আর চায়ের দোকানে আড্ডার সময় শুনা জনপ্রিয় গানটির তথ্য জেনে নিবেন । কাজেও দিতে পারে !
18. বিগত সালের বিসিএস প্রশ্নগুলি সমাধান করুন (২৪তম থেকে ৩৫তম/২০১২ সাল থেকে ২০১৫ নন ক্যাডার প্রশ্নগুলি)
19. আমরা পারি ৯৫% অথচ পারিনা ৫% কিন্তু সারাদিন চিন্তা করি সেই ৫% নিয়ে । এই অভ্যাস পরিত্যাগ করুন বরং ৯৫% নিয়ে ভাবুন ।
20. ফেসবুকে সফলদের পোস্ট কিন্তু কম কার্যকরী নয় ! নিজের না জানা বিষয়গুলি জেনে নোট করুন । সফল হতে হলে সফলদের সিঁড়িটা ধার নিতে পারেন কিন্তু সিঁড়িটা কোথায় সেট করবেন তা ভেবে নিবেন ।