হোম পরীক্ষা চাকুরী উচ্চশিক্ষা

চাকরি জীবনের শুরুতেই ফ্ল্যাটের মালিক হবেন সরকারি চাকুরিজীবীরা

চাকরি জীবনের শুরুর দিকেই সরকারি কর্মকর্তাদের নিজস্ব আবাসনের (ফ্ল্যাটের মালিক) ব্যবস্থা করে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষে সহজ কিস্তি ও সুদে ঋণ দিয়ে চাকরিতে যোগদানের চার বছরের মধ্যেই ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেয়া হবে তাদের।

মুলত সরকারি চাকরিতে যোগ দেয়া কর্মকর্তাদের কর্ম জীবনের শুরুতেই দুর্নীতি থেকে দূরে রাখার জন্যই এই উদ্যোগ। পাশাপাশি সরকারি চাকরিতে মেধাবীদের আকৃষ্ট করাও এই উদ্যোগের লক্ষ্য। এই কাজে যুক্ত করা হবে বেসরকারি আবাসন খাতকে। তাদের দিয়েই নির্মাণ করা হবে এসব ফ্ল্যাট।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আগ্রহে এ-সংক্রান্ত নীতিমালার খসড়া তৈরি করেছে তার কার্যালয়ের সুশাসন বিষয়ক ইউনিট। গতকাল (সোমবার) এ-সংক্রান্ত নীতিমালা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে তাদের মতামত চাওয়া হয়েছে।

অবশ্য এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় নিজস্ব মালিকানার অব্যবহৃত জমিতে বহুতল ভবন (ফ্ল্যাট) নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে। একইভাবে বিভিন্ন স্থানীয় উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক, রাসিক, চউক, খুউক) পরিকল্পনা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব আবুল কালাম আজাদ জানান, ‘পর্যায়ক্রমে সব গ্রেডের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এ সুবিধা পাবেন। সরকারি চাকরিজীবীরা কর্মজীবনের শুরুতে একটি ফ্ল্যাটের মালিক হলে দুর্নীতি অনেকটাই হ্রাস পাবে। মাথা গোঁজার ঠাঁই নিশ্চিত হলে কেউ আর নিজেকে আকণ্ঠ দুর্নীতিতে জাড়াবেন না। তারা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করায় উৎসাহিত হবেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই এ-সংক্রান্ত নীতিমালার খসড়া করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রায় ১৩ লাখ সরকারি কর্মজীবীর মধ্যে মাত্র ৮ শতাংশকে আমরা ভাড়ায় বাড়ি দিতে পারি। এ কারণেই সরকারি আবাসন বরাদ্দ পেতে এতো চাহিদা।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিষয়টি মাথায় রেখেই আমরা বর্তমান সরকারের অবশিষ্ট মেয়াদ তিন বছরের মধ্যে ৮ শতাংশকে ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে চাই। আর নবীন কর্মকর্তাদের ফ্ল্যাট দেয়ার যে পরিকল্পনা করা হয়েছে তা বাস্তবায়িত হলে ভাড়ায় বাড়ি পাওয়ার চাহিদা কমবে। এখানে বেসরকারি খাতও লাভবান হবে।