প্রায় আট বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে ৩১ জানুয়ারি (রোববার) । বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ সমাবর্তন অনুষ্ঠানকে নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে । গ্র্যাজুয়েটদের বরণে এখন পুরোপুরি প্রস্তুতি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের পশ্চিম পাশে তৈরি করা হয়েছে হেলিপ্যাড।রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ওই দিন হেলিকপ্টারে নেমে সরাসরি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এর আগে ২০০৮ সালের ৫ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সমাবর্তনে ৭ হাজার ১৯৪ জন গ্র্যাজুয়েট অংশ নেবেন।
গ্র্যাজুয়েটদের সুবিধার্থে সমাবর্তনের দিন পরিবর্তন আনা হয়েছে শাটল ট্রেনের শিডিউলেও।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অভিমুখে সকাল সাতটায়, সাড়ে সাতটায়, সাড়ে আটটায়, সাড়ে নয়টায় ও সাড়ে ১০টায় এবং দুপুর ২টা ১০ মিনিট ও রাত সাড়ে আটটায় শাটল ট্রেন ছেড়ে যাবে।
অন্যদিকে ক্যাম্পাস থেকে নগরীর উদ্দেশ্যে সকাল আটটা ২০ মিনিটে, আটটা ৫০ মিনিটে, ১০টায় এবং বিকেল পাঁচটায়, সন্ধ্যা ছয়টায়, সাতটায় ও রাত সাড়ে নয়টায় শাটল ট্রেন ফিরে আসবে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুষ্ঠানকে যেমন জাঁকজমকপূর্ণ করতে চায় তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবোজ্জ্বল অতীত ও মর্যাদা যাতে ক্ষুণ্ন না হয় সেদিকেও কড়া নজর রেখেছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেবেন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আনিসুজ্জামান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান।