শিক্ষা বোর্ড থেকে তড়িঘড়ি করে গোঁজামিল দিয়ে প্রথম মেধা তালিকা প্রকাশের পর লাখ লাখ শিক্ষার্থী এখন নানা বিড়ম্বনায় পড়েছে। তাদের ভোগান্তি দীর্ঘতর হচ্ছে। প্রকাশিত ফল সম্পর্কে ভর্তিচ্ছুদের অভিযোগ, এতে মেয়েদের কলেজে ভর্তির জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে ছেলেদের।
এমনকি শিক্ষা বোর্ড থেকে অনুমোদন বাতিল করা কলেজেও দেওয়া হয়েছে ভর্তির মনোনয়ন। বাণিজ্য শাখা নেই, এমন কলেজে পাঠানো হয়েছে বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীদের। কোনো কোটায় আবেদনই করেনি, এমন ভর্তিচ্ছুদের কোটায় মনোনীত করা হয়েছে। মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির অনুমতি।
আবার বিজ্ঞানে আবেদন করে পেয়েছেন বাণিজ্য শাখায় ভর্তির মনোনয়ন। এখনও ৬২ হাজার ৮০০ আবেদনকারী শিক্ষার্থী কোনো ফলই হাতে পায়নি। সমস্যার জট ছাড়াতে এখন হিমশিম খাচ্ছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা বোর্ডে গিয়ে দেখা গেছে, শত শত ভর্তিচ্ছু আর তাদের অভিভাবকরা বিক্ষোভ করছেন। তাদের কেউ কেউ বোর্ড কর্মকর্তাদের প্রতি মারমুখী হয়ে ওঠেন।
এ সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে আনসারদের বেগ পেতে হয়েছে। অভিভাবকদের তোপের মুখে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় গতকাল রাজধানীর ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ড. আশফাকুস সালেহীনকে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বোর্ড কর্মকর্তারা তাদের লিখিত অভিযোগ দিতে বললে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। গতকালই প্রায় দেড় হাজার বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। সাধারণ অভিভাবকরা বলছেন, সন্তানের ভর্তি নিয়ে এমন বিপাকে তারা আগে কখনও পড়েননি। তারা তাদের দুর্ভোগের জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের শাস্তি দাবি করেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, এ বছরই প্রথম ‘স্মার্ট অ্যাডমিশন সিস্টেম’ চালু করা হয়। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির সময় হাতে ছিল না, কর্মকর্তাদেরও কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। তিনশ’র বেশি আসন থাকা সব কলেজে ভর্তি অনলাইনে করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। একদিনের মাথায় নতুন সার্কুলার জারি করে সব কলেজের ভর্তিই অনলাইনে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ এতে আপত্তি জানিয়েছিল।
বিপুলসংখ্যক আবেদন প্রসেস করার মতো ক্ষমতাসম্পন্ন সার্ভার না থাকায় কারিগরি জটিলতার কারণে কয়েক দফা পেছানোর পর রোববার মধ্যরাতে ভর্তির প্রথম তালিকা প্রকাশ করা হয়। আর এ তালিকা প্রকাশের পরই নতুন নতুন জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় পুরো ভর্তি প্রক্রিয়া এখন তালগোল পাকিয়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে গতকাল থেকে তালিকা সংশোধনের কাজ নতুন করে শুরু করে ঢাকা বোর্ড কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, দুই লাখ পরীক্ষার্থীর নম্বরপত্র ভুল ছাপা হওয়ায় তারা সঠিক নম্বরপত্রের জন্য প্রতিদিনই বোর্ড অফিসে ভিড় করছে।
ভর্তিচ্ছুদের ভোগান্তির চিত্র :রাজধানীর গুলশানে কালাচাঁদপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি মেয়েদের জন্য। সেখানে একাদশ শ্রেণীতে ৩৮টি আসন রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য বোর্ডের প্রকাশ করা মেধা তালিকায় রয়েছে ২২ জন ছেলে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এ কলেজের শিক্ষকরা। থমকে গেছে তাদের ভর্তি প্রক্রিয়া। উত্তরার বাসিন্দা ভর্তিচ্ছু মিলকান রহমান তারেক আবেদন করে ভর্তির জন্য মনোনয়ন পেয়েছে উত্তরা কলেজিয়েট হাইস্কুলে। ভর্তি হতে গিয়ে দেখে, এক বছর আগেই এ কলেজের স্বীকৃতি ও পাঠদানের অনুমতি বাতিল করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
গতকাল বোর্ড কার্যালয়ে এসে সে তার সমস্যার কথা লিখিতভাবে জানিয়ে যায়। দিনাজপুরের একটি বিদ্যালয় থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে মাধ্যমিক পাস করা খাদিজা ইউসুফ বিনতে ইভা ভর্তির জন্য কোটায় সুযোগ পেয়েছে শহীদ লে. কর্নেল আনোয়ার গার্লস কলেজে। তার বড় ভাই জাকারিয়া ইবনে ইউসুফ সমকালকে জানান, তারা কোটায় কোনো আবেদনই করেননি। অথচ তার বোনের ফল প্রকাশ করা হয়েছে কোটায়। ভর্তির জন্য কলেজে গেলে অধ্যক্ষ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কোটায় ভর্তি হতে হলে কোটার কাগজপত্র দেখাতে হবে। জাকারিয়া জানান, এ খবর জানার পর তার বোন খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
অথচ একই ফল করে তার সহপাঠীরা ধানমণ্ডি আইডিয়াল, সিটি কলেজসহ নামিদামি অন্যান্য কলেজে মনোনীত হয়েছে। দু’দিন ধরে দৌড়াদৌড়ি করে তিনি এর কোনো সমাধান পাননি। ধামরাই লর্ড হার্ডিঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উত্তীর্ণ ফারজানা আক্তার আবেদন করেছিল রাজধানীর পাঁচটি কলেজে ভর্তির জন্য। তাকে মনোনীত করা হয়েছে ফরিদপুরের ইয়াছিন কলেজে। গতকাল ঢাকা বোর্ডে দাঁড়িয়ে সমকালকে সে বলে, এটা তামাশা ছাড়া কিছুই নয়।
ইয়াছিন কলেজ কোথায়, সেটাই আমি জানি না। বোর্ডে এসে শুনলাম, ওটা নাকি ফরিদপুরে। একইভাবে মহসিন উদ্দিন ফেনী সেন্ট্রাল হাইস্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৪.৭২ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। স্মার্ট সিস্টেমে সে ঢাকার ধানমণ্ডি আইডিয়াল কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, ফেনী সরকারি কলেজ এবং সর্বশেষ ঢাকার মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজকে পছন্দের তালিকা রেখেছিল। ভর্তির ফল দেখে সে রীতিমতো হতবাক।
ভোলার বোরহান উদ্দিন উপজেলার আবদুল জব্বার ডিগ্রি কলেজে তাকে ভর্তির জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। অথচ সে ওই কলেজ ভর্তির আবেদনই করেনি। শান্তিনগর থেকে পাস করা রাজীব আহমেদ পাঁচটি কলেজে আবেদন করেছিল। রোববার প্রকাশিত ফলে সে দেখতে পায় তাকে তার পছন্দের কোনো কলেজে তার সুযোগ দেওয়া হয়নি। উল্টো তাকে একটি মহিলা কলেজে মনোনীত করা হয়েছে।
ফার্মগেটের সরকারি বিজ্ঞান কলেজে বাণিজ্য বিভাগ না থাকলেও সেখানে ভর্তির জন্য ১৫০ জনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এই দেড়শ’ শিক্ষার্থীই এখন বোর্ডে কর্মকর্তাদের রুমে রুমে ধর্ণা দিচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট তারিকুল ইসলাম জানান, তার ভাতিজি ঢাকার একটি স্কুল থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। অথচ পাঁচটি কলেজ পছন্দের ক্রমে রাখলেও সে কোনোটিতেই চান্স পায়নি। অথচ একই কলেজগুলোতে তার সহপাঠীরা অনেক কম জিপিএ নিয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। তার প্রশ্ন, এটা কী করে সম্ভব হলো?
এসব বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু বক্কর ছিদ্দিক সমকালকে বলেন, প্রকাশিত ফলের ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভর্তিচ্ছুদের আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। এগুলো সমাধানের কাজ এরই শুরু হয়ে গেছে। তিনি বলেন, সব শিক্ষার্থীই ভর্তির সুযোগ পাবে। কেউ বাদ যাবে না।
অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু বলেন, শান্তিনগরে বসবাসকারী শিক্ষার্থীকে ভর্তি হতে বলা হয়েছে উত্তরার রাজউক কলেজে। বাড্ডার অধিবাসী ভর্তিচ্ছুকে দেওয়া হয়েছে ধানমণ্ডি সিটি কলেজে। এ কেমন ভোগান্তি? এখন এ ভর্তিচ্ছুরাই মাইগ্রেট করে নিজ এলাকার কলেজে ভর্তি হতে চাইছে। এ বিষয়ে ঢাকা বোর্ডের উপ-কলেজ পরিদর্শক অদ্বৈত কুমার রায় বলেন, ভর্তিচ্ছুদের পছন্দের ভিত্তিতেই তাদের কলেজ নির্ধারিত হয়েছে।
আজ ক্লাস শুরু হলেও এখনও ভর্তি বঞ্চিত দেড় লাখ শিক্ষার্থী :শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে, আজ ১ জুলাই থেকে সারাদেশে একাদশ শ্রেণীর ক্লাস শুরু হচ্ছে। তবে ভর্তি নিয়ে জটিলতা বিরাজ করায় প্রায় দেড় লাখ শিক্ষার্থী এখনও ভর্তি হতে পারেনি। তাদের মধ্যে ৬২ হাজার ৮০০ ছাত্রছাত্রী আবেদন করেও কোনো ফলই পায়নি। আর বাকিরা ফল পেলেও ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় তারা কোথাও ভর্তি হতে পারছে না। তাই ক্লাস শুরুর প্রথম দিন আজ বুধবার একাদশ শ্রেণীর ক্লাস শুরু করতে পারছে না দেড় লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী। গতকাল পর্যন্ত রাজধানীর বেশিরভাগ কলেজ কেবল নিজেদের পাস করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিয়েছে।
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম সমকালকে বলেন, প্রথম দিন নিজেদের শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়েছি। সোমবার বিকেলে তালিকা পাওয়ায় মঙ্গলবার বাইরের শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো হচ্ছে। মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজেও একইভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়।
ঢাকা সিটি কলেজ, মতিঝিল আইডিয়াল কলেজ, মনিপুর কলেজসহ বেশ কয়েকটি কলেজের অধ্যক্ষরা জানিয়েছেন, বুধবার তারা প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু করবেন।
সংকটের কারণ :এসএমএসের পাশাপাশি অনলাইনের মাধ্যমে এবারই প্রথম সারাদেশে ‘স্মার্ট অ্যাডমিশন সিস্টেম’ চালু করা হয়। এ জন্য ১ জুন ভর্তি নীতিমালা জারি করা হয়। এতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ৩০০র বেশি আসন থাকা সব কলেজে অনলাইনে ভর্তি নেওয়া হবে। অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের এ সিদ্ধান্তকে পাশ কাটিয়ে দেশের সব কলেজে অনলাইনে ভর্তির একক সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান।
এ জন্য তিনি পরদিন ২ জুন পৃথক আরেকটি নীতিমালা জারি করেন। ঢাকা বোর্ডের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা সমকালকে নিশ্চিত করেন, পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ছাড়াই এ ধরনের উদ্যোগ সারাদেশে বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে আপত্তি করেন তারা। তবে সচিব তা আমলে নেননি।
তড়িঘড়ি করে তিন লাখ আবেদনকারী ডাটা বিশ্লেষণের ক্ষমতাসম্পন্ন এই স্মার্ট সফটওয়্যারে সাড়ে ১১ লাখ আবেদনকারীর ডাটা বিশ্লেষণ করতে গেলে সার্ভার ডাউন হয়ে যায়। এতেই তিন দফা পিছিয়ে যায় ফল প্রকাশ। উদ্বেগে-উৎকণ্ঠায় পড়ে লাখ লাখ ভর্তিচ্ছু ও তাদের অভিভাবক।
রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সুফিয়া আক্তার সমকালকে বলেন, আরও সময় নিয়ে ধীরেসুস্থে অনলাইন ভর্তি পদ্ধতি চালু করলে ভালো হতো। প্রথমেই সারাদেশে না করে প্রয়োজনে একটি বা দুটি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষামূলক পাইলটিং করা যেত। এরপর সারাদেশে তা করা যেত।
আর অভিভাবক সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নীপা সুলতানা সমকালকে বলেন, বোর্ডের মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে রেজাল্ট শিটে নম্বর না থাকায় ফল নিয়েই মানুষের মনে প্রশ্ন উঠছে। কিসের ভিত্তিতে এ ফল দেওয়া হচ্ছে?
নতুন সিদ্ধান্তের গিনিপিগ :অভিভাবক ঐক্য পরিষদের নেতা সেলিম উদ্দিন বলেন, চলতি বছর এসএসসি উত্তীর্ণ এই ব্যাচটি শুরু থেকেই সরকারের বিভিন্ন নিত্যনতুন সিদ্ধান্তের গিনিপিগ হচ্ছে।
২০১৩ সালে এ ব্যাচটি নবম শ্রেণীতে ওঠার পর তাদের দিয়েই প্রথম গণিত বিষয়ে সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করা হয়। অভিভাবকদের শত আপত্তি সে সময়ে কানে নেওয়া হয়নি। যার কারণে এবারের এসএসসির ফল খারাপ হয়েছে। তিনি বলেন, এ বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে এ ব্যাচটির এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে সারাদেশে বিএনপি-জামায়াত জোটের আন্দোলন ও পেট্রোল বোমা হামলার কারণে দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে তাদের পরীক্ষা দিতে হয়েছে। এখন আবার নতুন ‘স্মার্ট অ্যাডমিশন সিস্টেম’ এ ব্যাচের ঘাড়েই চাপিয়ে দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে।
শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান এ বিষয়ে বলেন, ভর্তিচ্ছুদের ভোগান্তি কমাতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। প্রথমবার হওয়ায় কারোরই এ নিয়ে অভিজ্ঞতা তেমন ছিল না। আর বিদেশ থেকে সফটওয়্যার না কিনে বুয়েট থেকে সফটওয়্যার বানানো হয়েছে। এতে নিজেদের অভিজ্ঞতা হচ্ছে। আর কলেজে ভর্তির মেধা তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে অনেক ‘অপশন’ থাকায় তা নিয়ে কারিগরি জটিলতা হয়েছে। ভবিষ্যতে এসব জটিলতা দূর করা হবে।
ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, যারা এখনও ফল পায়নি তাদের তালিকা ২ জুলাই প্রকাশ করা হবে।