শনিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, পরীক্ষক ও শিক্ষকদের প্রতি উত্তরপত্রে কম নম্বর দেওয়ার নির্দেশনা নেই। বেশি নম্বর দেওয়ারও কোনো নির্দেশনা নেই। যার যা প্রাপ্য, তা-ই দিতে হবে।
১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রস্তুতি জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এবার আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসহ ১০টি বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ১৬ লাখ ৫১ হাজার ৫২৩ জন। এর মধ্যে শুধু এসএসসি পরীক্ষার্থী ১৩ লাখ ৪ হাজার ২৭৪ জন। সারা দেশে তিন হাজার ১৪৩টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
শিক্ষামন্ত্রী প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়ে বলেন, এবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সম্ভাবনা একেবারেই নেই। সন্দেহজনক যারা আছে, তাদের প্রতি নজরদারি আছে। কোচিং ও ফটোকপির দোকানেও নজরদারি আছে। এ ছাড়া ফেসবুকে এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা যেন বন্ধ করে দিতে পারে, বিটিআরসিকে তা বলা আছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবার প্রথমবারের মতো সাতজন অটিস্টিক শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। তাদের জন্য ৩০ মিনিট সময় বেশি রাখা হয়েছে। তবে অন্য প্রতিবন্ধীদের বাড়তি সময় আগের মতোই ২০ মিনিট রাখা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) অংশের পরীক্ষা আগে হবে। পরে হবে সৃজনশীলের পরীক্ষা। দুই অংশের পরীক্ষার মাঝে ১০ মিনিট সময়ের ব্যবধান থাকবে।
এত দিন সৃজনশীল অংশ আগে হতো। পরে এমসিকিউ অংশ হতো। কিন্তু অভিযোগ ছিল, এমসিকিউ অংশের প্রশ্ন অসাধু কিছু শিক্ষক মোবাইলে ছবি তুলে বাইরে পাঠিয়ে উত্তরপত্র এনে শিক্ষার্থীদের কাছে সরবরাহ করতেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৮ মার্চ শেষ হবে। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ৯ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ১৪ মার্চ শেষ হবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাসচিব সোহরাব হোসাইনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।