বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলে [সহকারি শিক্ষক, মৌলভী শিক্ষক, প্রভাষক ইত্যাদি] নিয়োগের লক্ষ্যে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) প্রথমবারের মতো ১৫ হাজারেরও বেশি প্রার্থী বাছাই করেছে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আনুষ্ঠানিকভাবে আজ (রোববার) বিকেল তিনটায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করবেন বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
এ তালিকাভুক্তদের মধ্য থেকে নিয়োগপত্র দেবেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদ।এই তালিকাভুক্তদের নিয়োগ পাওয়ার জন্য আর কোনো পরীক্ষা লাগবে না। উপজেলা, জেলা ও বিভাগভিত্তিক তালিকা হয়েছে। যারা নিজ উপজেলাতে সুযোগ পাবেন না তাদেরকে জেলায়। জেলায়ও না পেলে বিভাগে।
১ম থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে যারা আবেদন করেছেন শুধু তাদেরই নিবন্ধন পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর, একাডেমিক রেজাল্ট ইত্যাদি বিবেচনা করে এ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। নিবন্ধন আইন অনুযায়ী এই সনদধারীরা মূলত বেসরকারি শিক্ষক পদে আবেদন করার যোগ্যতা অর্জনের জন্য নিবন্ধন পাশ করেছিলেন। এ সনদ ছাড়াও তাদেরকে আলাদা করে নিয়োগ পরীক্ষা দিতে হতো। কিন্তু এই সনদধারীরাই সরাসরি নিয়োগের জন্য বাছাই হয়ে তালিকাভুক্ত হলেন। এ নিয়ে প্রশ্ন ও ক্ষোভ রয়েছেন নতুন মানে ত্রয়োদশ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে। তারা মনে করছেন, তারা প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভা দিয়ে চূড়ান্তভাবে পাস করে নিয়োগের জন্য উপযু্ক্ত হবেন। কিন্ত ১ম থেকে ১২তম পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা মাত্র দুশ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা দিয়েছেন।
আজ প্রকাশিতব্য তালিকা তৈরির আগে অনলাইন ভিত্তিক নিয়োগ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ত্রিশ হাজারের বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে শূন্য পদের তালিকা চায় নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত শূন্য পদের তালিকা দেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। যদিও সবাই শূন্য পদের তালিকা দেয়নি মর্মে অভিযোগ রয়েছে।
নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের সূত্রমতে, ৬ হাজার ৫৬২টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১৫ হাজার ১২১টি শূ্ন্য পদের জন্য তারা অনলাইনে চাহিদা পেয়েছেন। চলতি বছরের ১৬ আগস্ট পর্যন্ত প্রার্থীদের কাছ থেকে ১৪ লাখের মতো আবেদন জমা পড়েছে।
কোন প্রক্রিয়ায় আবেদনের তথ্য সমন্বয় করে প্রার্থী বাছাই হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে একজন কর্মকর্তা বলেন, আবশ্যিক বিষয় নয় ঐচ্ছিক বিষয়ের স্কোরকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
গত বছর বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলে শিক্ষক পদের প্রর্থাী বাছাইয়ের ক্ষমতা পেয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ।
এর আগে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সব ধরণের নিয়োগের ক্ষমতা ছিল প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির হাতে। এখন শুধু অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, সহকারি প্রধানশিক্ষক এবং মাদ্রাসার প্রধানসহ কর্মচারি নিয়োগের ক্ষমতা রয়েছে পরিচালনা কমিটির হাতে।
সূত্র: দৈনিক শিক্ষা