৬ দিন হচ্ছে ঈদের ছুটি

মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটি তিন দিন থেকে বাড়িয়ে ছয় দিন করতে যাচ্ছে সরকার।

একই সঙ্গে অন্য প্রধান দুটি ধর্মের ধর্মীয় উৎসবের ছুটি দু’দিন থেকে বাড়িয়ে চার দিন করা হচ্ছে। বাড়তি ছুটি কর্মচারীদের নৈমিত্তিক ছুটি থেকে কেটে নেয়া হবে।

এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। শিগগিরই এটি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা যুগান্তরকে জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতর ও আজহার ছুটি ছয় দিন করে কোন তারিখ থেকে শুরু এবং কার্যকর হবে তা মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের আগে বলা যাবে না।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চলতি মাসের প্রথম দিকে পবিত্র ঈদুল আজহার সরকারি ছুটি বাড়ানোর একটি প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাবটিতে অনুমোদন দিয়ে পরবর্তীতে মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপনের নির্দেশনা দিয়েছেন।

এর আলোকে সম্প্রতি প্রস্তাবটি উপস্থাপন করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। প্রস্তাবে বলা হয়, মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদের সময় ঢাকাসহ অন্য বড় শহরগুলো থেকে সরকারি ও বেসরকারি অফিসের চাকরিজীবীরা নিজ শহর ও গ্রামে প্রায় একই সঙ্গে যাত্রা শুরু করেন। এতে যানবাহনের ওপর মাত্রাতিরিক্ত চাপ পড়ে। দুর্ঘটনা বেড়ে যায় এবং দূরপাল্লার যাত্রায় দীর্ঘ ট্রাফিক জ্যামের সৃষ্টি হয়।

যাত্রীদেরও অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আবার ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলার পর ১-২ দিন সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারীদের উপস্থিতি কম থাকে। কর্মচারীদের উপস্থিতি কম থাকা সত্ত্বেও ইউলিটি সার্ভিস যেমন লিফট, গাড়ি চালু রাখতে হয়।

এতে ইউলিটি সার্ভিসের সদ্ব্যবহার হয় না। সার্বিক বিবেচনায় প্রধান ধর্মীয় উৎসবের ছুটি বাড়িয়ে জনদুর্ভোগ লাগব হতে পারে। ছুটি ছয় দিন হলে যানবাহনের ওপর চাপ, যানজট ও দুর্ঘটনা হ্রাস পাবে।

এতে অনাকাক্সিক্ষত প্রাণহানি কমানো সম্ভব। পরিবারিক ও সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে ও উৎসব স্বাচ্ছন্দ্য হবে। ছুটি থেকে চাকরিজীবীদের কর্মস্থলে সানন্দে ফেরার প্রবণতা বাড়বে। অফিস খোলার দিন থেকে পুরোদমে অফিস চালু হবে।

ঈদুল ফিতর ও আজহায় তিন দিনের ছুটির সঙ্গে কর্মচারীদের নৈমিত্তিক ২০ দিনের ছুটি থেকে তিন দিন করে মোট ছয় দিন কেটে ঈদের ছুটি নির্ধারণ করা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে বার্ষিক নৈমিত্তিক ছুটি থাকবে ১৪ দিন।

একই সঙ্গে অন্য দু’টি প্রধান ধর্মীয় উৎসবের ছুটি দু’দিন থেকে বাড়িয়ে চার দিন করা হতে পারে। তাদের ক্ষেত্রেও নৈমিত্তিক ছুটি থেকে বর্ধিত ছুটি কেটে নেয়া হবে।

ছুটি যেন দীর্ঘায়িত না হয় সেজন্য দুই ঈদের সঙ্গে ঐচ্ছিক ছুটি বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর ঈদের ছুটি এক দিন করে বাড়ানো হয়েছিল।