চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা পঁয়ত্রিশের দাবি, স্মারকলিপি

চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবি জানিয়ে দীপু মনির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র পরিষদ। শনিবার বিকাল পাঁচটায় সংসদ ভবনে দীপু মনির অফিসে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
দীপু মনি বলেন, গড় আয়ু যেহেতু বেড়েছে তাই চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো যেতে পারে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বয়স বাড়ানোর জন্য উত্থাপিত যুক্তি শুনে মত প্রকাশ করেন তিনি। আলোচানার এক পর্যায় তিনি আশ্বস্থ করেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে চাকরির বয়স বাড়ানোর বিষয় জানাবেন।
এ সময় চাকরিতে আবেনের বযস বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি হিসেবে বিভিন্ন দেশের চাকরিতে প্রবেশের বয়সের গেজেটের কপি দেখানো হয়। এতে দেখা যায় ভারতে পশ্চিমবঙ্গে গত ২৯ জানুয়ারি প্রথম শ্রেণির চাকরিতে ৩২ থেকে ৩৬ ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে ৩৯ বছর করা হয়েছে, বিভিন্ন প্রদেশে চাকরিতে প্রবেশর বয়স ৩৫-৪০ পর্যন্ত রয়েছে, শ্রীলংকাতে চাকরির বয়স ১৮ থেকে ৪৫, যুক্তরাষ্ট্রে ২০ থেকে ৫৯ পর্যন্ত রয়েছে। কোন কোন দেশে চাকরির প্রবেশের সীমা থাকলেও অবসরে সীমা নেই। সেশন জটের চিত্র হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যায়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ব বিদ্যালয়ের স্নাতক পরীক্ষার নোটিস ও বিশ্ববিদ্যালয় কতৃক সর্বশেষ প্রদত্ত সনদ পত্রের কপি তাকে দেওয়া হয়। এতে দেখা যায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোশেষ ২০১৪ সালের সনদ পত্র দিয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারিতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগল ও পরিবেশ, নাট্য কলা বিভাগে সেশন জট রয়েছে। এ ছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক বিশ্ববিদ্যালযের সনদ পত্রের কপিতে ২/৩/৪ বছরের সেশন জট দেখা যায়।
এ সময় বর্তমান রাষ্ট্রপতি স্পিকার থাকা কালীন ২০১২ সালে ৩১ জানুয়ারি চাকরির বয়স ৩৫ করার বিষয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণের কপি, আওয়ামী লীগের পার্টি ওয়েব সাইটে ডেভলপমেন্ট পার্ট-৪ এ ২০১৩ সালে চাকরিতে প্রবশের বয়স বাড়ানো হচ্ছে এ সংক্রান্ত প্রকাশিত নিউজের কপি, চাকরির বয়স ৩৫ করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন পত্রিকার মাধ্যমে প্রকাশিত খোলাচিটির কপি, জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয়ের চাকরিতে প্রবেশের বয়সবাড়ানোর সুপারিশ, প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ২০১৪ অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে চাকরির বয়স বাড়ানোর প্রস্তাব, চাকরির বয়স শেষ হওয়ার ফলে রাজবাড়ীতে এক ছাত্রের আত্মহত্যা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের আত্মহত্যা, জাহাঙ্গিরনগরে এক ছাত্রির আত্মহত্যা ও চট্ট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর আত্মহত্যাসহ বিভিন্ন যুক্তি উপস্থাপন করা হয়।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে স্মারকলিপি প্রদান করেণ মো. আল-আমিন রাজু, সঞ্জয় কুমার দাস, মো. সবুজ ভূঁইয়া, জুলফিকার খান, কামাল হোসেন, শেখ রবিউল, নিত্যনন্দ সরকার, হারুন-অর- রশিদ, আমিরুল ইসলাম সেলিম, বিনয় কুমার বিশ্বাস, আশফাকুর রহমান মুক্ত, রাকিব হাছান, হাসিবুল হোসেন, মো. শাহদাৎ হোসেন, আলী রেজা রাজু, মোল্লা মোহাম্মদ হাসান, নাজনিন খানম, আরিফ হোসেন, মানিক শাহ, নাছির হোসেন, শাখাওয়াত শামিম, শফিকুর রহমান, পিংকি, কলি দাস, শেফালি খাতুন, সুবর্না, নিহারিকা চৌধুরি, মৌ আক্তার, রুমানা, আয়শা জাহান নুপুর, জান্নাত ফেরদৌস সুমি, শরিফ হোসেন, রাকিবুল হাসান, সিব্বির হোসেন, মোঃ শাহীন, আলিম খান, মিজান খান, তারেক হোসেন, হাবিবুর রহমান মিন্টু, মিজানুর রহমান, সোহাগ, মনি সংকর, মুন্সি আলিম, আয়শা আক্তার, মম, তোফাজ্জেল,আনিসুল হক, অনিতা রানী, শাহাদাত হোসেন রাসেল, মো. আসিফ, দেব রাজ মজুমদার।
সূত্রঃ ইত্তেফাক